Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বশেমুরবিপ্রবিতে হাতুড়ি দিয়ে হামলার চেষ্টা, আহত একাধিক

বশেমুরবিপ্রবিতে হাতুড়ি দিয়ে হামলার চেষ্টা, আহত একাধিক

25

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর বায়োকেমিস্ট্রি এড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনায় একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

বুধবার(১৪ জুন) বিকেল ৪টার দিকে ক্লাস পরবর্তী সময়ে বিএমবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।

এদিকে ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় রানা মিয়া ও মাইনউদ্দিন সিফাত এর করা অভিযোগ পত্রে তারা জানান, ক্লাস রুমের মধ্যে ৫ জনের একটি গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় চাবির রিং ব্যবহার করে কিল, ঘুষির মাধ্যমে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে মারতে থাকে। পরবর্তীতে বিভাগের শিক্ষক মণ্ডলীরা এসে উদ্ধার করে।

অপর এক অভিযোগ পত্রে বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, সোহেল রানা আমি ও মইনউদ্দীন খান সিফাত এর পূর্বেও আমাদের অনেকের সাথে বিভিন্ন সমস্যা করেছে এবং অন্যায়ভাবে সায়েম মিয়া ও হাসিব মুন্সিকে মারধর করেছে। এরই পরিপেক্ষিতে আমরা সকল ব্যাচমেট মিলে ক্লাস আজকে ক্লাস শেষে বসেছিলাম। সেখানে সামি ও সিফাতকে অন্যায়ভাবে হাসিবকে মারার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে ওরা কোনো সঠিক উত্তর না দিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করে। এসময় সিফাত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ব্যাগে আনা হাতুড়ি দিয়ে মামুন মিয়াকে আঘাত করে। আমরা সকলে বাধা দিতে গেলে এক প্রকারের ধস্তাধস্তির সৃষ্টি হয়। যেখানে সোহেল রানা সামি শেখ তারেকের হাতের পেশিতে কামড় দিয়ে মাংস তুলে নেয়। এক পর্যায়ে স্যার-ম্যামরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সিফাত জানালা দিয়ে হাতুড়ি ফেলে দেয়।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, রানা মিয়া এর আগে অনেকের সাথে ঝামেলা করে মারধর করে। কিছুদিন আগেও তার দুইজন সহপাঠীকে মারধর করে। এ বিষয়ে তার ক্লাসের সহপাঠীরা কারন দর্শাতে বলে এবং তাদের ক্লাসের ইনফরমেশন মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর গত মঙ্গলবার (১৩ জুন) রানা মিয়া কেন তাকে গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হইছে বলে ক্লাস প্রতিনিধিকে শাসিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে ক্লাস রুমে এ ব্যাপারে কথা হয়। কথার এক পর্যায়ে কিছুটা ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটলে সিফাত ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে মামুনকে মারতে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বাকিরা ঠেকাতে এলে ধস্তাধস্তির সময় অনেকেই আগত হন।