Home জাতীয় বরিশালের ভাটিখানায় মাদক কারবারী : কে এই কিশোর সন্ত্রাসী ঈমন?

বরিশালের ভাটিখানায় মাদক কারবারী : কে এই কিশোর সন্ত্রাসী ঈমন?

74

আহমেদ জালাল : বরিশাল নগরীর ভাটিখানা পান্থসড়ক লাগোয়া প্রয়াত ব্যাংকার জাহাঙ্গীর হোসেন’র বাসভবনে তারই কুলাঙ্গর পুত্র ঈমন এবার কৌশলীপন্থায় মাদকের আস্তানা গড়ে তুলেছে। বিশেষ করে তিনতলা ভবনের ছাদে এবং খুব গোপনে পানির ট্যাঙ্কির ছাদে বসে কৌশলীপন্থায় দিন রাতে ইয়াবা আর গাজার আসরে মত্ত থাকেন। পাশাপাশি তার বন্ধু এবং মাদক ক্রেতারাদেরও সেখানে আনাগোনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এছাড়া মাদক বিক্রির অর্ডার পেলে আস্তানা থেকে সেলফোনে নেটওয়ার্কিয়ের মাধ্যেমে ক্রেতার কাছে নিরাপদে পৌছে দিচ্ছে অনেকটা হাবাগোবা ভেষভূষায় থাকা ঈমনের সাঙ্গপাঙ্গরা। বেয়াদপ হিসেবে পরিচিত কিশোর সন্ত্রাসী এই চরম ধুরধন্দর প্রকৃতির মাদক কারবারি ঈমন। এরআগে একাধিকবার নেশায় ভূত হয়ে থাকা মাদকাসক্ত অবস্থায় ঈমনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। এমনকি তার মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগীসহ ঈমন পুলিশের খাঁচায় বন্দীও হয়েছিল। তার পিতা জীবদ্দশায় থাকা অবস্থায় তাকে বেয়াদপ,উশৃঙ্খল,মাদকাসক্ত হিসেবেও আখ্যায়িত করেছিল। মাদকাসক্ত ছেলের আচরনে পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন। জনশ্রুতি রয়েছে-ছেলে ঈমনের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড এবং মাদকের সঙ্গে জড়িত থেকে একের পর এক পুলিশের খাঁচায় বন্দী হওয়ায় শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন। ছেলেকে উশঙ্খল চলাফেরাসহ মাদকের করাল গ্রাস থেকে ফিরিয়ে আনতে বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন। এ নিয়ে পিতা-পুত্রের সঙ্গে বাকবিতন্ডার পাশাপাশি পিতার সঙ্গে চরম অসভ্য আচরন করে। এবং পিতাকে অনেকবার লাঞ্ছিত করারও এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। কাউনিয়া থানা এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি পুলিশ)খাতায় মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারী হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছে ঈমন। তাজ্জ্বব! মাদক কারবারীর বাধা দেয়ায় প্রয়াত পিতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার চেষ্টাও করেছিলেন পুত্র ঈমন।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরবে গভীর অনুসন্ধানে করলে এই মাদক কারবারী কিশোর সন্ত্রাসী ঈমনের মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টসহ পিতাকে বর্বর ভাষায় ব্রেন টর্চার করার বিষয়টি বেড়িয়ে আসছে বলে মনে করেন এলাকার অভিজ্ঞ এবং সচেতন মহল।
এদের মাদক কারবারীর বিষয়ে প্রতিবাদী ভূমিকায় পিতা জাহাঙ্গীর হােসেন থাকলেও তাঁর কথা ধোপে টিকেনি। পিতা জাহাঙ্গীরকে পরিবারের কেউ পাত্তাই দিচ্ছিল না। বরংচ জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের অন্যায় অপকর্মের প্রতিবাদ করলে প্রাণে শেষ করে দিতে প্রস্তুত থাকতো মাদক ব্যবসায়ী পুত্র ঈমন। এক্ষেত্রে ঈমনের মা এবং বোন জলির ভূমিকা বেশ বিতর্কিত। বছর তিনেক আগে ছেলের অপরাধের প্রতিবাদ করেছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তৎকালীন সময়ে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে ইয়াবা ব্যবসায়ী ছেলে ঈমন। অত:পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে পিতা জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে টুকরা টুকরা করার হুঙ্কার দিয়ে খুঁজতে থাকে। ছেলে ঈমনের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে তখন জাহাঙ্গীর হোসেন বাসার একটি রুমে আশ্রয় নেয়। সেখানে গিয়েও কোপানের চেষ্টা করে ঈমন। পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে তাৎক্ষনিক কাউনিয়া থানায় চলে যান জাহাঙ্গীর হোসেন। এরপর পুলিশ বাসায় এসে ঈমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কয়েক ঘন্টা পর মা,বোন মিলে মুছলেখা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনে ঈমনকে। এরকম অসংখ্য অন্যায় অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে ঈমনের বিরুদ্ধে।
সূত্রগুলোগুলো বলছে, দিন কিংবা রাতের আধারে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহিরাগত সন্ত্রাস প্রকৃতির,ইয়াবা ব্যবসায়ের সঙ্গে সম্পূক্ত,বখাটে প্রকৃতির ছাত্র-যুবকের আনাগোনা বেশ লক্ষনীয় ছিল। দীর্ঘসময়ব্যাপী দুই ভাই ইমাম আর ঈমন নিজ বাসভবন এবং ছাদেসহ বাড়িরসহ এবং নেটওয়ার্কিয়ের মাধ্যমে মাদকের আস্তানা গেড়ে কারবারী করে আসছিলো। পুলিশের হাতে দুই ভাই বেশ কয়েকবার আটকও হয়েছিল। কিন্তু মা,বোনের আশ্রয় প্রশয়ে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠে ইমাম আর ঈমন। এরমধ্যে ইমামের বিরুদ্ধে ঢের অভিযোগ থাকায় একপর্যায়ে রাজধানীতে পাড়ি জমায়। মাঝে মাঝে ইমাম বরিশালের বাসভবনে এসে কয়েক দিন অবস্থান করে,যখন পুলিশী অভিযানের টের পেয়ে অবস্থা বেগতিক দেখে তখন সটকে পড়ে। আর ইমামের ছোট ভাই কলেজ ছাত্র ঈমনও অসংখ্যবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। এরআগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ বরিশাল নগরীর ত্রিশগোডাউন এলাকা থেকে আটক হয় ঈমনের এক সহযোগী। তৎসময়ে পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয় ঈমন। এ ঘটনায় ঈমনকে পলাতক দেখিয়ে সহযোগীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বিশেষ করে ঈমনের আশ্রয় প্রশয়দাতা মায়ের ভূমিকা বেশ বিতর্কিত। ইয়াবাসহ নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্যের কারবারী করে আসলেও মা আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বোন জলির আশ্রয় প্রশয় এবং শেল্টারে ক্রমেই বিপদগামীর দিকে ধাবিত হচ্ছে ঈমন। মা আর জলি মাদক কারবারী ভাইদের মদদদাতা হিসেবে আখ্যায়িত। ভাটিখানায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা জাহাঙ্গীর মিয়ার বড় মেয়ে জলি এবং তার স্বামী ভাড়া থাকছেন শশুরের ভবনে। এই জলি ভাটিখানার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। জলির বিরুদ্ধে স্কুলে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বসহকারে পাঠদান না করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের ভাষ্য, পাঠদানে অমনোযোগী এবং ঢের অদক্ষ জলি। এই জলির বিরুদ্ধে স্কুলে নানা অনিয়মসহ সরকারি নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা না করে নিয়মবহিভূতভাবে চাকুরী করার বিষয়ে অন্তহীন অভিযোগ রয়েছে। জামাই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। চলন বলনে জামাই’র মাঝে ভদ্রতার ছাপ রয়েছে। তিনি শ্যালকদের মাদক থেকে দুরে থাকার বিষয়ে অনেকবার বারন করলে তার কথা থোপে টিকেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর বিভিন্ন মাদক আস্তানায় ঈমনের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। পলাশপুর, স্টেডিয়াম বস্তি, শেরে বাংলা মেডিকেলের সামনে, ত্রিশ গোডাউন, মুক্তযোদ্ধা পার্ক, ভাটিখানাসহ আরো অনেক এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ঈমন ও তার সহযোগিরা ইয়াবার নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি করে চলছে। পুলিশসহ স্থানীয়রা জানায়, এই পরিবারের বিরুদ্ধে অনেক আগ থেকেই মাদক কারবারির অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, গত বছরের ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রিশ গোডাউন এলাকায় মাদক কারবারী করতেছিল ব্যাংকার জাহাঙ্গীর মিয়ার পুত্র ঈমন ও তার সহযোগিরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ঈমনের সহযােগি তাফসিরকে ২০ পিচ ইয়াবাসহ আটক করে। ওই সময়ে মাদক কারবারির অন্যতম হোতা ঈমন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে ডিবি পুলিশের একটি টিম ভাটিখানায় জাহাঙ্গীর মিয়ার বাসায় অভিযান চালায়। অনুসন্ধানী সূত্রগুলো বলছে, পুলিশী অভিযানে খবর পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ঈমন নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রয়াত জাহাঙ্গীর মিয়ার পুত্র ঈমনের মাদক কারবারীতে এলাকায় মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে ছাত্র ও যুবসমাজ। তরুণদের সকল শক্তি, সাহস আর উদ্দীপনা হারিয়ে যাচ্ছে মাদকের ভয়াল গ্রাসে। এদের লাগাম টেনে ধরার দাবী জানিয়েছেন এলাকার শান্তিপ্রয় নারী পুরুষ। এজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বশীল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল। প্রয়াত ব্যাংকার জাহাঙ্গীর হোসেন এর স্ত্রী,কন্যা ও মাদক ব্যবসায়ী ছেলেদের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে সম্পূক্তসহ অন্তহীন অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে তাদের বর্বরতার নানা চিত্র। তাদের বর্বরতায় বিবেক কেঁপে ওঠে! এ এক অসভ্যয় ভরপুর পরিবার। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের ভাষ্য, জাহাঙ্গীর পরিবারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বছর আগে এক শিশুকে হত্যাচেষ্টারও অভিযোগও রয়েছে। ভাগিস শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিশুকে চিকিৎসা করানো দূরের কথা, শিশুর স্বজনদের দেখতে আসেনি। বরংচ শিশুর দুর্ঘটনার পর মাদক ব্যবসায়ী পরিবার কিছু না জানার ভান করে বাসার কক্ষে গিয়ে চুপচুপ থেকেছিল।
এদিকে, ব্যাংকার জাহাঙ্গীর মিয়ার পরিবারের মাদক বাণিজ্যের বিষয়টি কাউনিয়া থানা পুলিশ,ডিবি পুলিশও অবহিত। এরআগে বেশ কয়েকবার পুলিশ জাহাঙ্গীর মিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়েছে। তৎকালীন সময়ে বরিশাল মেট্রোর ডিবি এসআই মহিউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকেদর জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ত্রিশ গোডাউন এলাকা থেকে তাফসির নামে একজনকে ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। তৎসময়ে আরেক মাদক কারবারী ঈমন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর ভাটিখানা পান্থসড়ক লাগোয়া স্থানে তার বাসায় অভিযান চালানো হলে ঈমনকে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, এ ব্যাপারে ঈমনকে পলাতক দেখিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং মাদক কারবারী ঈমনকে গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি মামলার তদন্ত চলছে। আরো যদি কেউ জড়িত থাকে সেক্ষত্রে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেন এসআই মহিউদ্দীন আহমেদ। অবশ্য পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের মুছলেখাসহ কৌশলীপন্থায় নানা দহরমমহরমে সে যাত্রায়ও পাড় পেয়ে যান মাদক কারবারী ভেষভূষায় হাবাগোবা টাইপের সন্ত্রাস প্রকৃতির মাদকাসক্ত ঈমন। অন্যদিকে মাদকাসক্ত পুত্রদের মাদককারবারী, উশৃ্খল চলাফেরা, নিজ পিতাকে হত্যাচেষ্টাসহ নানান দুশ্চিন্তায় মানসিকভাবে বেশ ভেঙ্গে পড়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অবহেলা,মাদকাসক্তপুত্রদের নষ্টামীতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়পাড়ে পাড়ি জমান নম্র, ভদ্র, সভ্য, মার্জিত, অমায়িক, স্নেহশীল, নিরহংকার, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন মনের অধিকারী ব্যাংঙ্কার জাহাঙ্গীর হোসেন।
এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে ভদ্র,বিনয়ী হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন এর শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের পর ফের নতুন আদলে ইয়াবা,গাজার রমরমা বাণিজ্যে চালিয়ে আসছে। আর কোন বাধা নেই, কারণ তার পিতাই একমাত্র পুত্র ঈমনের মাদকাসক্ত আর উশঙ্খলতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসতো। তিনি আজ নেই। তাই কোন বাধা বিঘ্ন নেই, সেজন্য অট্রালিকায় বসে পুত্র ঈমন মাদক ব্যবসায়ের বিস্তৃতি ছড়াচ্ছেন নগরীর বিভিন্নস্থানে। মাদকাসক্ত মাদক কারবারী উশৃঙ্খল ঈমনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবী সচেতন মহলের। এজন্য বরিশাল মেট্রোপলিটনের চৌকশ পুলিশ কমিশনার, নগর গোয়েন্দা শাখা,বরিশাল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৮) এর আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন অভিজ্ঞমহল ও সমাজ সচেতনমহল।
এসব প্রসঙ্গে প্রয়াত ব্যাঙ্কার জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রীর বক্তব্য : আমার ছেলে মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত নয়, তবে কিছু খারাপ ছেলেদের সঙ্গে মিশে একটু খারাপ-উশৃঙ্খল হয়ে গেছিল। পুলিশের কাছে মুখলেখা দিয়ে তাকে ভালোভাবে চলার জন্য পরিবারের জিম্মায় নিয়ে আসা হয়। পিতাকে হত্যাচেষ্টার বিষয়ে বলেন, ভবিষ্যতে যাতে কোন ধরণের অন্যায় অপকর্ম না করে এজন্য থানা পুলিশের কাছে মুছলেখা দিয়ে তাকে ওইসময়ে সকলের সন্মতিতে পরিবারের জিম্মায় আনা হয়। বলেন, বর্তমানে তার ছেলে কোন ধরণের মাদক ব্যবসা কিংবা উশৃঙ্খল ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা করেন না।