Home জাতীয় বরিশালের ঘটনায় দুটি মামলা: আটক ১০

বরিশালের ঘটনায় দুটি মামলা: আটক ১০

36

বরিশাল অফিস: সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহরিয়ার বাবুসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম। দুটি মামলার মধ্যে একটিতে বাদী বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান এবং অপরটি পুলিশ।

ওসি আরও জানান, দুটি মামলায় ৬০২ জনের মত আসামি করা হয়েছে।বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে দুটি মামালায় প্রধান আসামী করা হয়। এ ছাড়াও নামধারীরা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং শ্রমিক লীগের বিভিন্ন পদে রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনীবুর রহমান বাদী হয়ে ২৮ জনকে নামধারী এবং অজ্ঞাত ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র নির্দেশে উপজেলা কম্পাউন্ডে শোক দিবস উপলক্ষে লাগানো বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর ব্যানার ছিড়ে ফেলা হচ্ছিলো। এ বিষয়ে বারণ করায় তারা সংঘবন্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা চালায়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সব ধরনের যাবাহন চলাচল বন্ধ কের দেন মেয়রের সমর্থন কারীরা্ । হঠাৎ যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিন্তে পড়ে সাধারণ মানুষ। তবে বেলা ১২টা থেকে স্বাভাবিক নিয়মে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

ঘটনার প্রক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ। নগরীর কালীলীবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাদ ভবনে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং বিসিসির প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।

এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামীলীগেন সভাপতি এ.কে.এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ সহ বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রসী কর্মকান্ডের অভিযোগ করেন। ইউএনও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এর পেছনে অন্য কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি নেতৃবৃন্দের।

উল্লেখ্য বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বরিশাল নগরীর থানা কাউন্সিল (উপজেলা পরিষদ) কম্পাউন্ডে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সিটি কর্পোপোরেশনের মেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লক্ষ্য করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আনসার সদস্যদের গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।