Home জাতীয় বজ্রপাতে চলতি বছর ৩২৯ জন মারা গেছেন

বজ্রপাতে চলতি বছর ৩২৯ জন মারা গেছেন

51

ডেস্ক রিপোর্ট: চলতি বছর এখন পর্যন্ত বজ্রপাতে ৩২৯ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে গত মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত চার মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৭ জনের।একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৭ জন। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) শনিবার এক সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

‘বজ্রপাতের স্থানিক ও কালিক বিন্যাস, কারণ ও বাঁচার উপায়’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল সেমিনারে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা বেড়েই চলেছে।

বজ্রপাতের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিনই আসে মৃত্যুর খবর। বেশিরভাগ সময় বিচ্ছিন্নভাবে এক-দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আবার কখনো কখনো একটিমাত্র বজ্রপাতে বহু মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. আশরাফ দেওয়ান।

আলোচক হিসাবে বক্তব্য দেন সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার।

সেমিনারে পবার সম্পাদক এমএ ওয়াহেদ সঞ্চালনা করেন। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সুলতানা শফী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ও জলবায়ু গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, পবার সম্পাদক মেজবাহ সুমন, সদস্য তোফায়েল আহমেদ, কৃষক প্রতিনিধি ইব্রাহীম মিয়া, মানিকগঞ্জের যুব সংগঠক মো. মিজানুর রহমান, নেত্রকোনার বৃক্ষপ্রেমিক হামিদ কবিরাজ প্রমুখ।

সেমিনারে বলা হয়, ৪ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরযাত্রী দলের ওপর বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে শুধু গ্রামের মানুষই মারা যাচ্ছে এমনটি নয়। ৫ জুন ঢাকার মালিবাগে বজ্রপাতে দুই শিশুসহ তিনজন মারা গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা ও চট্টগ্রামে বজ ঘাতে প্রাণহানি বেড়েছে। তবে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ।

বাংলাদেশে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংঘটিত বজ্রপাতের বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতের সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যাবলীর সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

যার মূল ফলাফলগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশের বজ পাত ঋতুভিত্তিক; মধ্যরাত থেকে সকালে বজ্রপাতের পরিমাণ বেশি এবং মে মাসে সর্বোচ্চ (২৬ শতাংশ) বজ পাত হয়; বজ্রপাতের হট ও কোল্ড স্পটগুলো দিন ও রাত অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়; জলাভূমি ও স্থায়ী জলাশয়গুলোতে দিন ও রাতে বজ্রপাতের সংখ্যা অন্যান্য ভূমির আচ্ছাদনের তুলনায় বেশি এবং সুপ্ততাপ প্রবাহ দেশের বজ্রপাতের স্থানিক ও কালিক বিন্যাসকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।-যুগান্তর