Home জাতীয় বঙ্গোসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে গণ ডাকাতি।। ডুবিয়ে দিয়েছে জেলেদের ১ টি ট্রলার

বঙ্গোসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে গণ ডাকাতি।। ডুবিয়ে দিয়েছে জেলেদের ১ টি ট্রলার

25

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে গণ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সোনাচর সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জলদ্যুরা এ গণডাকাতি সংঘটিত করে। এসময় বেশ কয়েটি ট্রলার থেকে মাছ, তেল, নগদ টাকাসহ মোবাইল সেট লুট করে নেয় ডাকাতরা। ডাকাতি শেষে ৯ জেলেসহ এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলার ডুবিয়ে দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা। ডুবিয়ে দেয়া ট্রলারের ৯ জেলেকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে মৎস্য বন্দরে নিয়ে এসেছে মা বাবার দোয়া নামের অপর একটি ট্রলার। এ ঘটনায় জেলেসহ সংশ্লিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়িরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ডুবিয়ে দেয়া ট্রলার ও ডাকাতির শিকার হওয়া জেলেরা জানান, ২২ থেকে ২৩ সদস্যের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। ট্রলারের মাছসহ সকল মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় একটি ট্রলার ডুবিয়ে দেয় ডাকাতদল। একই সময় বেশ কয়েকটি ট্রলারে ডাকাতি করে।
এফবি মা বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি জিয়া মিয়া বলেন, কোন কিছু বোঝার আগেই ডাকাতদল ট্রলারে উঠে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। সবাইকে মারধর করে ট্রলারে থাকা সব মালামাল নিয়ে গেছে। তাদের ট্রলারে ১৫ জন স্টাফ ছিলো।
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ৬৫ দিনে নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পরা শুরু করেছে। এরই মধ্যে জলদস্যুরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে ৭ টি মহিপুরের। এছাড়া বাকি ট্রলারগুলো বিভিন্ন এলাকার বলে তিনি জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো.আরিফ বলেন, ডুবিয়ে দেয়া ট্রলারের জেলেদের উদ্ধার করা হয়েছে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে দেখার জন্য বলা হয়েছে।