Home সারাদেশ বঙ্গবন্ধ হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার দাবি

বঙ্গবন্ধ হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার দাবি

40

স্টাফ রিপোর্টার: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার দাবি করেছেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য গণতদন্ত কমিশন গঠন করে বিদেশে থাকা পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জোর দাবি জানান ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
গতকাল শনিবার বেলা ৩ টায় রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল এণ্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে’ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী।
কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো দেশের উন্নয়নে কোনো সরকার ভূমিকা রাখতে পারেনি। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং ভিশন-২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করবেন। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে অটল থেকে সারাজীবন কাজ করেছি। আগামীতেও মাঠে-ঘাটে এবং হাট-বাজারে, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি নৌকার বিজয়ে কাজ অব্যহত থাকবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন তার সাথেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। শেখ হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই বরেও জানান কাজী মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা -৫ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি- জামায়াতে সন্ত্রাসীরা কর্মসূচির নামে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। সুতরাং সন্ত্রা ও নৈরাজ্য করবেন না। তাহলে পরিনতি ভয়াবহ হবে। ইদুরের গর্তে গিয়ে ও বাঁচতে পারবেন না।
মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ শামীম মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন ও শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার কবির, শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর মাহবুবুর রহমান মোল্লা, জিয়াউদ্দিন জিয়া, যাত্রাবাড়ি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিকর রহমান আতিক প্রমূখ। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ ই আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের পর উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।