Home সারাদেশ ফকিরহাটে চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামি ফারুক গ্রেফতার বাকিরা পলাতক

ফকিরহাটে চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামি ফারুক গ্রেফতার বাকিরা পলাতক

35

খুলনা অফিস : ফকিরহাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামি ফারুক গ্রেফতার হয়েছে। বাকি দুজন পলাতক রয়েছে। এই মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ্য করেন। আমি স্বপন কুমার দাশ(৬৫), এনআইডি নং-৪১৭৪৭৮৯৯১৯, (চেয়ারম্যান, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ এবং ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি), পিতা-মৃত নগেন্দ্র নাথ দাশ, মাতা- মৃত মনোরমা দাশ, সাং-বেতাগা, থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাট।

সঙ্গীয় জাড়িয়া ভট্টখামার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব রবীন্দ্রনাথ সিকদার (৫৬), পিতা-মৃত পুলিন বিহারী সিকদার, সাং-বড় আন্ধারমানিক, থানা-কচুয়া, জেলা-বাগেরহাট এপি সাং-লখপুর (জনৈক কার্তীক চন্দ্র অধিকারী এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাটসহ থানায় হাজির হইয়া আসামী ১। শেখ ফারুক হোসেন (৪৫), (সভাপতি ফকিরহাট প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক দৈনিক প্রবাহ), পিতা-শেখ মোন্তাজ উদ্দিন, সাং-আট্টাকী, ২। মোঃ মোজাহেদুর রহমান (৪৫), (সেক্রেটারী ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক দৈনিক আমাদের কন্ঠ), পিতা-সাখাওয়াত হোসেন, সাং-জাড়িয়া মাইটকুমড়া, ৩। এইচ.এম নাসির উদ্দিন (৫০), (সাংবাদিক দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং রিপোর্টার এশিয়ান টিভি) পিতা-মোঃ আফসার উদ্দিন হাওলাদার, সাং-কাহারডাঙ্গা, সর্ব থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাট গনদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, (যা পরবর্তীকালে মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নং ০৬, তাং ২২/০১/২৩, ধারা- ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ পেনাল কোড।) গত ইং-২০/০১/২০২৩ তারিখে বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার হইতে ০৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত জাড়িয়া ভট্টখামার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং আয়া পদে লিখিত নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত পরীক্ষায় বিভিন্ন পদে মোট-২৩ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করে। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় ১। শেখ ফিরোজ আহাম্মেদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ফকিরহাট, ২। ডিজি সাহেবের প্রতিনিধি জনাব মুন্সি শাহারিয়ার হাসান, মূলঘর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ফকিরহাট, ৩। জনাব পুলিন বিহারী ঘোষ, সভাপতি, ভট্টখামার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফকিরহাট সহ সেখানে আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ঐ দিন রাত্র অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় ১নং আসামীর নেতৃত্বে সকল আসামীগন উক্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হইয়া নিয়োগ ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রধান শিক্ষককে জানায় যে, আপনারা অবৈধভাবে স্কুলের নিয়োগ দিচ্ছেন আমাদেরকে ৫০,০০০/- টাকা চাঁদা না দিলে আমরা এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করিব।

আসামীদের উক্ত প্রস্তাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজি না হওয়ায় সকল আসামীরা তাহাকে মারপিটসহ খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব রবীন্দ্রনাথ সিকদার (৫৬) ভীত সন্ত্রস্ত হইয়া সকল আসামীর উপস্থিতিতে ইং-২০/০১/২০২৩ তারিখ রাত্র অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের বারান্দায় দাড়িয়ে ১নং আসামীকে ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা, ৩ নং আসামীকে ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা প্রদান করেন। আসামীরা তাদের দাবিকৃত চাঁদার থেকে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা পাইয়া এবং অবশিষ্ট চাঁদার ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা তিন দিনের মধ্যে না দিলে সংবাদপত্রে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করবে এবং ঘটনার বিষয় কাউকে না জানানোর জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে খুন জখমের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরে ঘটনার বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাকে জানাইলে আমি সরেজমিনে উপস্থিত হইয়া ঘটনার বিষয়টি বিস্তারিত শুনি এবং সত্যতা পাই। উক্ত ঘটনায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ সহ আইনশৃংখলার স্বাভাবিক পরিস্থতিকে নষ্ট করার অপচেষ্টা করায় উপজেলার ভাবমূতি নষ্ট হইয়াছে। ঘটনার বিষয় অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতিসহ আরো অনেকের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।