বরিশাল অফিস: বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশন। শনিবার ( ২৭ মে) রাত ৮ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিন উল আহসান এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অবঃ) ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম। জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় আয়োজিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম বার , জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম ও সিটি নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ন কবির। সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় প্রার্থীরা বলেন , ভোট কেন্দ্রে প্রিন্টেড ফলাফল সিট দিতে হবে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি এমনভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে যাতে সেটি রেকর্ড সৃষ্টি করে। পুলিশ প্রশাসনেও রদবদল চান প্রার্থীরা। সেই সাথে ইভিএম এ ভোট বাতিল চান, ভোট চান ব্যালটে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের এসব বক্তব্যের পরে কথা বলেন মেয়র প্রার্থীরা। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে। নির্বাচন পর্যন্ত এরকমই ভালো চান। সেই সাথে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহনে তার আস্থা রয়েছে বলে জানান নৌকার প্রার্থী।
প্রার্থীদের বক্তব্যের জবাবে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। তারপরও সকালবেলা পুলিং এজেন্টরা প্রয়োজনে ইভিএম মেশিন দেখে নিবেন। যারা ইভিএম নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন একদিন তারাই ইভিএম এর জন্য আফসোস করবেন। প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আচরন বিধিমালা প্রতিপালন করতে হবে। আমরা কিন্তু মিডিয়ার দিকে চোখ রাখি। যে অভিযোগ মিডিয়ায় আলোরন হয় সেটি কিন্তু আমলে নেই। আমরা কিন্তু সজাগ থাকি। সুতরাং দুঃস্তিন্তার কিছু নেই। ইভিএম এর উপর অাস্থা রাখুন , ইভিএম এ অনিয়ম করার সুযোগ নেই, এটা পরিক্ষিত। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার রোধ করা নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়, প্রার্থীদেরও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচনে যেকোন প্রার্থীর মাস্তানি কঠোর হস্তে দমন করা হবে।