বোরহান উদ্দিন রাব্বানী , জাবি: পাবনা জেলার ১৯৫ তম জন্মদিন আজ,১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ অক্টোবর স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পাবনা স্বীকৃতি লাভ করে। ১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জেলার বেশির ভাগ অংশ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজশাহী জেলার ৫টি থানা ও যশোর জেলার ৩টি থানা নিয়ে সর্ব প্রথম পাবনা জেলা গঠিত হয়। সময় সময় এর এলাকা ও সীমানার পরিবর্তন ঘটেছে। এ জেলার বয়স প্রায় দুইশত ছুঁইছুঁই। ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি শিল্পসমৃদ্ধ এই জেলাটি সগৌরবে পথ চলেছে এতগুলি বছর। ১৯৫ বছরে অসংখ্য বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের পা পরেছে এই শহরে। আছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, দেশের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ আরও অনেক কিছু।
এই জেলার ১৯৫ তম জন্মদিনে জেলার কিছু উদ্যমী তরুণ গড়ে তুলেছে সেন্টার ফর পাবনা স্টাডিজ নামক একটি গবেষণা সংগঠন। যেখানে পাবনা কেন্দ্রীক গবেষণায় আগ্রহীদের রিসার্চ মেথোডলজি কোর্স করানো, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য পাঠ করানো,গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভ্রমণ, প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা, ভাষাগত চর্চা ইত্যাদি বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সেন্টার ফর পাবনা স্টাডিজের অন্যতম সদস্য জাফর ইমাম বলেন, “পাবনার ঐতিহ্যবাহী বারমাস্যা, জাগ সংগীত কিংবা ধুয়ার কথা কতজন মনে রেখেছে বা তা কতজন চর্চা করছে? আমরা এগুলো চর্চায় ফিরিয়ে আনতে চাই।” আরেকজন সদস্য আবরার জাওয়াদ আফিফ বলেন,” পাবনা জেলায় যারা মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের জীবন্ত সাক্ষী তাদের বার্তা ও কথামালা আমরা সংরক্ষণ করে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য একটি আর্কাইভ করতে চাই”
এছাড়াও সংগঠনের সদস্য আশেক মাহমুদ সোহান বলেন, আসলে নিজেকে চেনার জন্য নিজের পূর্বপুরুষের ইতিহাস ও শেকড়ের কাছে পৌঁছানো জরুরি। তাই আমরা এ ধরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
উল্লেখ্য, সেন্টার ফর পাবনা স্টাডিজ পাবনা জেলা কেন্দ্রিক ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি শিল্প ভাষা ইত্যাদি বিষয়গুলো চর্চা ও গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছে পাবনা জেলার কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ। আগামীতে পাবনা কেন্দ্রীক জার্নাল, আন্তর্জাতিক সেমিনার, পাবনা জাদুঘর,পাবনার পর্যটন শিল্প ইত্যাদি নিয়ে তারা কাজ করবে।