Home জাতীয় পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত কুয়াকাটা, হোটেল মোটেল গুলোতে চলছে বুকিং

পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত কুয়াকাটা, হোটেল মোটেল গুলোতে চলছে বুকিং

54

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ কুয়াকাটাকে বলা হয় ‘সাগরকন্যা’। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার এক মাত্র পর্যটন স্পট। সৈকতে প্রতিনিয়ত দেখা মেলে লাল কাকড়ার অবাধ ছুটাছুটি আর বিশাল সাগরের নয়ভিরাম দৃশ্য। এছাড়া চর বিজয়, গঙ্গামতির, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও ঝাউবাগানসহ বেশকয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। যা দেশি বিদেশি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসে হাজারো পযটক। ঈদুল ফিতর ও সরকারি লম্বা ছুটিকে সামনে রেখে কুয়াকাটায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রীম হোটেল বুকিং। শুধু হোটেলই নয় নিজেদেরকে সার্বিকভাবে প্রস্তত করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
হোটেল মোটেল মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রমজান মাসজুড়ে ছিল পর্যটক শূন্য। সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো ধুয়ে মুছে পরিপাটি করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগামি ১লা মে থেকে টানা ছুটিতে ব্যাপক পর্যটকদের আগমন ঘটবে এমনটাই আশাবাদী তারা। ইতোমধ্যে প্রথম শ্রেনীর হোটেলগুলোর ৪০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর হোটেলগুলোর ৩০ শতাংশ রুম অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে এমনটা নিশ্চিত করেছেন ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র সেক্রেটারি কে এম জহিরুল ইসলাম।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু জানান, পর্যটকদের আগাম সম্ভাবনাকে ঘিরে আমরাও প্রস্তুতি নিয়েছি। পায়রা সেতুসহ যোগাযোগ ব্যবস্থ্যা উন্নত হওয়ায় খুব সহজেই এসব পর্যটকরা কুয়াকাটায় আসছে।
অভিযাত হোটেল শিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস’র সহকারি জেনারেল ম্যানেজার মো.আলা আমিন খান উজ্জল বলেন, ইতোমেধ্যে তাদের ৪০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনো অনলাইলে বুকিং চলছে। এছাড়া ডিসকাউন্ট সুবিধাও রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা হোটেল মেটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরিফ জানান, কুযাকাটায় দেড়শতাধিক হোটেল মোটেল রয়েছে। প্রতিটি হোটেলেই বুকিং চলছে। ঈদুল ফিতর ও সরকারি লম্বা ছুটিতে ভাল পর্যটক হবে এনমটাই আশা করেছেন তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক মো.হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।