স্টাফ রিপোটার: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ১১ দিনব্যাপী চলা গণজাগরণের সঙ্গীত উৱসবের সমাপণী অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত পাঁচ শতাধিক প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীগোষ্ঠির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো এ উতসব। আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, সন্ধ্যায় গণজাগরণের সংগীত উৎসব এর সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন- “১৪ ডিসেম্বর দিনব্যাপী নানা আয়োজন রয়েছে। ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উদযাপন উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোর ও যুবদের নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামিকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, যখন হানাদার বাহিনী নিশ্চিত হয়ে গেলো যে দেশটা মুক্ত হয়ে যাচ্ছে, স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের মেধাশুন্য করতে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়”।
মহাপরিচালক বলেন ‘আগামী ১৭-২৫ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উতসব শুরু হচ্ছে। এখানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারা উপস্থিত থাকবেন। ১৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত হবে যন্ত্রসঙ্গীত উতসব। গণজাগরণ বলতে আমরা ভাষা আন্দোলনের চেতনায় যেন জাগরিত হই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুল্যবোধ নিয়ে আমরা যেন জাগরণ তৈরী করতে পারি, বিশ্বে অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে যেন একটা গণজাগরণ তৈরী করতে পারি। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে”।
এরপর বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সম্মানিত সচিব জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
সঙ্গীত উতসবের সমাপনী দিনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই দলীয় সংগীত ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’ ও ‘রক্তে আমার আবার প্রলয় দোলা’ পরিবেশন করে একাডেমির নৃত্যদল। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন মাহমুদা আঞ্জুম বৃষ্টি ‘চেয়োনা সুনয়না’; নিলয় আকাশ পরিবেশন করেন ‘যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক’; অন্যান্য চৌধুরী সংগীত পরিবেশন করেন, ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত’; প্রমিলা রায় সংগীত পরিবেশন করেন, ‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো’; রুহুল আমিন সংগীত পরিবেশন করেন ‘আগে যদি জানিতাম’; রহিমা সংগীত পরিবেশন করেন ‘যে জন প্রেমের ভাব’; জিনিয়া হাসান সংগীত পরিবেশন করেন ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না’; জ্যাতাশ্রী রায় সংগীত পরিবেশন করেন ‘কবিতা পড়ার প্রহর’; নাফিজ নিয়াজ খান সংগীত পরিবেশন করেন ‘রিখতে পারিনা’; আলাউদ্দিন সংগীত পরিরেশন করেন ‘হাসন রাজায় কয়’।
এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি’ ও ‘শোন, একটি মুজিববের থেকে’। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন নন্দিতা বিশ্বাস ‘রংধনু ভালো লাগে’; নাহিদ মোমেন সংগীত পরিবেশন করেন ‘এ মোহাম্মদ বেহেস্ত’; মো: আশরাফুলজ্জামান সংগীত পরিবেশন করেন ‘সরলতার প্রতিমা’; শামিমা রহমান সংগীত পরিবেশন করেন ‘চঞ্চলা হাওয়ারে ধীরে ধীরে চলরে’; মো: দিদার মিয়া সংগীত পরিবেশন করেন ‘কেন হল দেখারে তোমারে’; সাহিনা হক ‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’; হুমায়রা কবীর সংগীত পরিবেশন করেন ‘আছেন আমার মোক্তার’ এবং মো: শামীম হোসেন সংগীত পরিবেশন করেন ‘বলবো না গো আর কোনদিন’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত ১১ টি সংগীত দল ১১ দিনব্যাপী এ সঙ্গীত উতসবে অংশ নিয়েছে। অন্তরা, সুরশ্রী, সঞ্চারী, রাগিনী, সুরধ্বনি, সুরসপ্তক, স্বরলিপি, গীতাঞ্জলি, গীতালি, সুরতরঙ্গ এবং সুরলহরী দলগুলো রবীন্দ্র ও নজরুলসহ পঞ্চগীতিকবির গান, আধুনিক গান, চলচ্চিত্রের গান পরিবেশন করেছে। শেষ দিনের আয়োজনে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন রুপসা ও সোহান।