Home জাতীয় পরীক্ষা পরবর্তী অযৌক্তিক ফি বাতিলের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিল ও সমাবেশ

পরীক্ষা পরবর্তী অযৌক্তিক ফি বাতিলের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিল ও সমাবেশ

42

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী অযৌক্তিক ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
বেলা ১২টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল শুরু হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক তামজীদ হায়দার চঞ্চলের সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অনিক রায়ের সভাপতিত্বে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক আদনান আজিজ চৌধুরি, সহকারী সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার, ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সংসদের সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিখা পিরেগু।
সমাবেশে মিখা পিরেগু বলেন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার আয়োজন করে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আবেদনের পর হঠাৎ করে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট না রাখার সিদ্ধান্ত, ফি বাড়িয়ে দ্বিগুণের অধিক করা, পরীক্ষা কেন্দ্র অনেকের নিজ এলাকায় না পড়া, কর্মদিবসে পরীক্ষা, ফলাফলে অসামঞ্জস্য এবং অভিযোগ গ্রহণের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এ পরীক্ষা নতুন করে দুর্ভোগ তৈরি করেছে। এর মাঝে আবার নতুন করে উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ ভিত্তিক আলাদা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে যা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভোগান্তিতে ফেলবে। অবিলম্বে এই অযৌক্তিক ফি বাতিল করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অনিক রায় বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়ে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে আবেদনের জন্য আলাদা করে অর্থ চাওয়ার পিছনে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যবসায়ী মানসিকতারই প্রমান। গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। এখন উর্ত্তীণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন অনুষদে ভর্তির আবেদন করার জন্য আলাদা করে অর্থ চাওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিভিন্ন অনুষদের ভর্তির আবেদনের জন্য অনুষদ প্রতি ৬৫০ টাকা চেয়েছে। ফলে,খুবই শীঘ্রই বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই পথ অনুসরণ করবে তাতে নতুন করে বলার কিছু নেই। বিশ্ববইদ্যালয় গুলোর এই প্রবনতাই প্রমান করে,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থেকে এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্টানে রুপান্তরিত হয়েছে। মুনাফা লাভই একমাত্র লক্ষ্য। করোনাকালে এমনিতেই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের পারিবারিক উপার্জন ক্ষমতা কমেছে,ফলে এখন নতুন করে অর্থ নেয়া হবে অমানবিক। এই ফি বাতিল না করলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাথে রাজপথেই থাকবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ হল সংসদের সভাপতি জয় রায়।