Home সারাদেশ নিম্মচাপের প্রভাবে ভোলায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

নিম্মচাপের প্রভাবে ভোলায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

32

ভোলা প্রতিনিধি॥ নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
ভোলা জেলা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট, বসতভিটা তলিয়ে যাওয়ায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ। অনেকের ঘরে পারি উঠায় রান্নাও চলছে না।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ার এলেই বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসব জনপথের মানুষগুলো। কিন্তু তাদের জন্য আজও নির্মিত হয়নি বিকল্প বাঁধের ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, তিৃতীয় দিনের মত জোয়ারের পানিতে বসতভিটা, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে গেছে। অনেকের রান্নাঘরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েলও পানির তলায়। ফলে সুপেয় পানির কষ্ট হচ্ছে অনেকে। আবার অনেকের ঘরে চুলা জ্বলছে না, জামা-প্যান্ট ভিজে স্কুলে যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। এছাড়া পানিতে ভেসে গেছে অনেকের হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত পশু-পাখি। এমন দুর্ভোগে দিন কাটালেও কেউ তাদের খোঁজ-খবর নেয় না।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আটকপাট গ্রামের বাসিন্দা হোসনে আরা বলেন, পানিতে আমাদের বাড়ি ডুবে গেছে। রান্না-বান্না করতে পারছি না। উঠানে পানি উঠেছে অনেক বাড়ির। সব সময় শিশুরা পড়ে গেল কি না হয়ে যায়, ভয়ে থাকতে হয়। সেই সঙ্গে রয়েছে সাপ, পোকার ভয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মাসুদ রানা বলেন, জোয়ারের চাপ অনেক বেশি। এতে রাজাপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ভোলার ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা আশ্রাফ আলী বলেন, জোয়ারের চাপে বাঁধের বাইরের অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক মানুষ দুর্ভোগে মধ্যে আছেন।
এদিকে এক যুগের বেশি সময় ধরে নদীর তীরে বসবাস করে আসছেন এসব মানুষ। কিন্তু বাঁধের বাইরে থাকায় তাদের জোয়ার-ভাটার টানাপোড়েনে জীবন কাটাতে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকে মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ডুবে গেছে ইলিশা ফেরিঘাট ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা ওই গ্রামগুলোতে বিকল্প বাঁধ মেরামতের কথা ভাবছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সচেতন মহল বলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ হলে অতি জোয়ার, নিম্মচাপ ও বন্যা দুর্গত মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।