Home সারাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে পারিবারিক সম্পত্তিতে নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি

নারীর ক্ষমতায়নে পারিবারিক সম্পত্তিতে নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি

22

স্টাফ রিপোটার: নারীর ক্ষমতায়নে পারিবারিক সম্পত্তিতে নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারীসমাজ দেশের উন্নয়নে সমানতালে ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমান বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল অবদান এ দেশের নারী সমাজের, যা নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের বক্তব্যেও উঠে এসেছে। অথচ নারীরা অনেক ক্ষেত্রে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর খিলগাঁও সিপাইবাগ বাজারে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। বিএনপিএস কেন্দ্রীয় কো-অর্ডিনেটর মোসাব্বের হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার উন্নয়ন কর্মকর্তা অনিকেত আচার্য্য। আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. শফিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ফাতেমা আক্তার ডলি, পল্লীমা মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি সৈয়দা শামিমা সুলতানা, অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চক্রবতী, কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড সদস্য নুসরাত এশা, নারী মৈত্রীর সিনিয়র ফিল্ড অফিসার আফরোজা আক্তার আঁখি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) প্যারালিগ্যাল শিথী দাস, শিক্ষক সুপ্রজিৎ দাস, বিএনপিএস’র ঢাকা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শেলীনা পারভীন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৬১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক কর্তৃক প্রণীত বৈষম্যমূলক ধর্মভিত্তিক পারিবারিক আইনের বলে উত্তরাধিকারসহ পারিবারিক সম্পদ ও সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাওয়া থেকে বাংলাদেশের নারীসমাজকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অঅচ সংবিধানের ২৬(১) ও ২৬(২) ধারা অনুযায়ী, মৌলিক অধিকারের অন্যতম ভিত্তি ‘বৈষম্যহীনতা’র সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক উত্তরাধিকার আইন বহাল থাকার যৌক্তিক ও আইনগত কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। তাই স্বাধীনতার মূলনীতি তথা সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অঙ্গীকারসমূহ লঙ্ঘন করা থেকে রাষ্ট্রকে বিরত রাখা এবং রাষ্ট্রীয় অগ্রগতির স্বার্থে বৈষম্যমূলক উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তন করে সকল ধর্ম ও লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য উত্তরাধিকারসহ পারিবারিক সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারের বিধান রেখে আইন প্রবর্তনে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তারা।