Home সারাদেশ নতুন সাজে কুয়াকাটা: পর্যটক বরণে প্রস্তুতি নিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা

নতুন সাজে কুয়াকাটা: পর্যটক বরণে প্রস্তুতি নিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা

25

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: ঈদ উপলক্ষে পর্যটন কেন্দ্র পর্যটন কুয়াকাটাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন সাজে। পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ঈদের ছুটি উপভোগ করতে পর্যটকরা হোটেলগুলোতে আগাম বুকিং দিতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেলগুলো ঘষামাজা ও রঙের কাজ শেষ করেছে। পদ্মা সেতু চালু ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে এ বছর ব্যাপক পর্যটক সমাগম এনটাই আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। সৈকতে বসার বেঞ্চ ও ছাতায় এখন নতুনত্বের ছোঁয়া। পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় মার্কেটের রাখাইন তরুণীরা বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা নিয়েও বসে গেছেন। এদিকে কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান নারিকেল কুঞ্জ, ইকো পার্ক, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, সীমা বৌদ্ধবিহার, ফাতরার বনাঞ্চল, গঙ্গামতি, কাউয়ারচর, লেম্বুরচর, শুঁটকি পল্লীসহ সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর বেলাভূমি, একাধিক নয়নাভিরাম লেক, সংরক্ষিত বনায়ন ও ইলিশ পার্ক যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
স্থানীয়রা জানায়, কুয়াকাটা নাম শুনলেই চোখের সামনেই ভেসে ওঠে চির সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য। দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আদিবাসী রাখাইন পাড়া। লাল কাঁকড়ার ছুটাছুটি। আর বিশাল সাগর। এসব দৃশ্য বিমোহিত করবে আগত পর্যটকদের । তাই ঈদকে সামনে রেখে প্রায় লক্ষাধিক পর্যটক বরণের প্রস্তুতি নিয়েছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় গড়ে উঠেছে পাঁচ তারকামানের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট। ছোট বড় মিলিয়ে কুয়াকাটায় প্রায় দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল রয়েছে। এছাড়া গড়ে উঠেছে উন্নতমানের খাবার হোটেল ও রেস্তোরা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন কুয়াকাটা পর্যটন নগরী বিদেশী পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ ছিল। তবে ঈদকে ঘিরে অসংখ্য পর্যটকদের আগমন ঘটবে এমন প্রত্যাশায় করছেন হোটেলে-মোটেল ব্যবসায়িরা। তবে ঈদকে ঘিরে অসংখ্য পর্যটকদের আগমন ঘটবে এমন প্রত্যাশায় করছেন হোটেলে-মোটেল ব্যবসায়িরা।
কুয়াকাটা ট্যুরিজাম ম্যানেজম্যন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সাধারন সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, আগে ভাগেই সকল ট্যুরিজম সেন্টার তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আশাকরি আগত পর্যটকদের সামাল দিতে বেগ পেতে হবেনা। হোটেল সী ক্রাউনে ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবার হোটেল রুম নতুন করে সজ্জিত করা হয়েছে । ইতোমধ্যে ৩০% রুম বুকিং হয়েছে। বাকি গুলো হয়ে যাবে বলে এই হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্রস আ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এম মোতালেব শরিফ বলেন, এবারের ঈদের লম্বা ছুটিতে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটবে। কয়েক বছর আগেও তেমন কোন প্রস্ততি ছাড়াই কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সেবা দিতে পারতাম। এখন পদ্মাসেতু হওয়ার পর থেকেই পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যে পরিমাণ পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে মনে করছি ,সে পরিমানে আবাসিক ব্যবস্থা নেই কুয়াকাটায়। আমাদের কমিউনিটি ট্যুরিজমকে গুরুত্বভাবেই দেখছি। যাতে আগত পর্যটকরা অন্তত রাত্রিযাপনটা করতে পারে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে প্রচুর পরিমানে পর্যটকদের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায়। আগত সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া দর্শনীয় স্থানগুলোতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত থাকবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।