Home সারাদেশ ধর্মপাশায় কালিজানা গ্রুপ ফিসারী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

ধর্মপাশায় কালিজানা গ্রুপ ফিসারী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

281

রাজু ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় কালিজানা গ্রুপ ফিসারী নিয়ে আজ দুপুর ০২.১০ মিনিটে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এখানে কালিজানা গ্রুপ ফিসারীর সভাপতি বেনু মিয়া বলেন যে আমার ফিসারীর ভিতর চারটি মৌজার ভিতরে বিভিন্ন দাগে আমাকে দেওয়া হয়নি।

বিগত ১৭/১০/২০২১ইং তারিখে কালিজানা গ্রুপ ফিসারী ১৪২৯ বাংলা সন থেকে ১৪৩৪ বাংলা সন পর্যন্ত ইজারা পায় ভাটাপাড়া উদয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ। যাহার আয়তন ২৮১.৫৯ একর। উক্ত কালিজানা গ্রæপ ফিসারীর আওতাধীন মৌজা- বালিজুরী, বীর, লংকাপাথারিয়া ও রাজাপুর উত্তর, জেএল নং ১৭, খতিয়ান ন ০১, হাল দাগ নং- ৩৪০, ৩৯২, ৪৮৩, ৪৮৯,১০০১, ১০৩৪,১০৯৫, ৩৭১৮, ৩৭৪২, ৩৭৭৯, ২০০১, ১৭০৬, ৪১৬ ও ১৬২৮। জমির পরিমাণ ২৪.০৭ একর (বালিজুরী মৌজা), জেএল নং ৩৩, খতিয়ান নং ০১, হাল দাগ নং ৪৫৬১, জমির পরিমান ৬.৩০ একর (বীর মৌজা), জে এল নং ৩০, খতিয়ান নং ০১, হাল দাগ নং ১২১, ১২৩ ও ১৩০, জমির পরিমান ১৯.৮০ একর (লংকাপাথারিয়া মৌজা), জে এল নং ২৯, খতিয়ান ০১, হাল দাগ নং ৬৫০১, জমির পরিমান ৮.১৩ একর (রাজাপুর উত্তর মৌজা)।

উপরে উল্লেখিত চারটি মৌজা উন্নয়ন প্রকল্পের স্কীমের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করা হয় নাই। কিন্তু আমার সমিতির আওতাধীন কালিজানা গ্রুপ জল মহালের মৎস্য উপরোক্ত মৌজায় প্রবেশ করে।

উপরোক্ত চারটি মৌজার দাগ গুলো আমার সমিতির অনুকূলে ইজারা দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১৪২৯ বাংলা সনে আবেদন করি। একই বিষয়ে একই তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করি। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৫/০৫/২০২৩ইং তারিখে জেলা প্রশাসকের কার্যালযে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য একজনকে উপরে উল্লেখিত দাগ ইজারা প্রদান করেন। যার ধরুন আমার সমিতির প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।

এমতাবস্থায় ১৪৩০ বাংলা সনে বিলের খাজনা দিতে হিমসিম খাচ্ছি। যদি এই দাগগুলো আমার সমিতির অনুকূলে না দেওয়া হয় তবে আমার সমিতি বড় ধরণের ক্ষতি হবে। এর মধ্যে তিন টি বড়জাল ও ৪০/৫০টি খনাজাল দিয়ে অবৈধ ভাবে মাছ আরোহন করে জলমহালের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

উল্লেখিত দাগ গুলো যাদের দেওয়া হয়েছে তারা জোর পূর্বক আমার জলমহালে প্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কোন অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই উপরের দাগ গুলো খাসকালেকশনে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন খাস কালেকশন এর ব্যপারে কাগজ পত্র দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন ও অবৈধ ভাবে জলমহলে মাছ আহরনের ব্যপারে বলেন অচিরেই মৎস্য অফিসার কে নিয়ে অভিযান চালিয়ে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।