Home সারাদেশ দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলামের অপসারনের দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলামের অপসারনের দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

18

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসাদাচারন, দূর্ব্যবহার ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করার প্রতিবাদে দৌলতপুরের সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধগণ মানিববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানবন্ধবন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। আজ রোববার ও শনিবার উপজেলা ব্যাপী মাইকিং করে দৌলতপুর থানার ওসি’ রফিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসাদাচারন, দূর্ব্যবহার ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করার ঘটনাটি অবগত করা হয়। একই সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ সর্বস্তরের জনতাকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বা জানানো হয়।
ব্যাটারী চালিত অটোয় ওসির বিরুদ্ধে মাইকিংয়ে যা বলতে শোনা গেছে, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা জনতা গড়ে তোলো একতা, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দূর্ব্যবহার ও অবহেলার প্রতিবাদে আগামী ৮এপ্রলি রোজ সোমবার সকাল ৯ঘটিকার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত প্রতিবাদ সভায় সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতী নাতনী এবং দৌলতপুর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ মানববন্ধনে দলে দলে যোগদান করে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন ওসি রফিকুলের অপসারন চাই’। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী জানান, আমাদের একজন মুক্তিযোদ্ধা ভাই মসলেম উদ্দিনকে কিছু সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে মারপিট করে। তার বিচার চেয়ে আমরা ৭-৮জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসি রফিকুলের কাছে যায়। থানায় তার রুমে প্রবেশ করলে দেখি তিনি চেয়ারের উপর পা রেখে সিগারেট টানছেন। আমাদের বসতেও বলেননি তিনি। তারপরেও আমার চেয়ারে বসে থাকি। অনেক্ষণ বসে থাকার পর এক পর্যায়ে তার কাছে বিষয়টি খুলে বলার চেষ্টা করলে তিনি হাতে সিগারেট টানতে টানতে আমাদের সাথে দূর্ব্যবহার ও অসাদাচারণ করে তার অফিস থেকে চলে যেতে বলেন এবং কোর্টে বিচার চাইতে উপদেশ দেন।
মাইকিংয়ের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কোন অন্যায় কাজ করিনি। আমি সবসময় অন্যায়ের বিপক্ষে এবং ন্যায়ের পক্ষে। তারপরেও যদি আমার বিপক্ষে কেউ মানববন্ধন করে তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।