Home সারাদেশ দৌলতপুরে ফিলিপনগর হাইস্কুলে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের হামলা : শিক্ষকসহ আহত-২

দৌলতপুরে ফিলিপনগর হাইস্কুলে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের হামলা : শিক্ষকসহ আহত-২

14

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিলিপনগর হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের হামলায় শিক্ষক সহ ২জন আহত হয়েছেন। তাদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের ফিলিপনগর হাইস্কুলে হামলার এ ঘটনা ঘটে। ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হামলায় পার্শ্ববর্তী শিশু নিকেতন স্কুলের শিক্ষক আক্তারুল ইসলাম ও ফিলিপনগর হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহেল রানাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। খবর দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ফিলিপনগর হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ১১০জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ২২৩ জন শিক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়ে। সোমবার (১৫ জানুয়ারী) লটারির মাধ্যমে ১১০জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় শিক্ষক আক্তারুল ইসলাম ও ফিলিপনগর হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে তর্কে জড়ালে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে।
হামলার বিষয়ে ফিলিপনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য দুটি শাখায় ১১০জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ২২৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ১১০জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। বাঁকী ১২৩জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারায় তাদের অভিভাবকরা স্কুলে হামলা চালায়। হামলায় স্কুলের পরিচালনা কমিটির সদস্য সহ পার্শ্ববর্তী শিশু নিকেতন স্কুলের একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল ইসলাম বলেন, স্কুলটির দুটি শাখায় ১১০জনকে ভর্তি করার সুযোগ রয়েছে। সে আলোকে নিয়ম অনুযায়অ প্রতিটি শাখায় ৫৫জন করে ১১০জনকে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু ভর্তি বঞ্চিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলে হামলা চালিয়েছে। এঘটনায় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।
হামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।