Home সারাদেশ দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা

127

নিতিশ চন্দ্র বর্মন পঞ্চগড়: দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় সহ জেলাগুলোতে বরাবরই শীতের প্রকোপ বেশী থাকে। এবারও এই জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যা হলেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকছে পুরো উত্তরাঞ্চল। হিমালয় পাদদেশে অবস্থান হওয়ায় এসব অঞ্চলে শীতের দাপট একটু বেশীই থাকে। তাছাড়া এ অঞ্চলে শীত সবার আগে আসে এবং যায় সব শেষে। গত কয়েক দিনে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ১৪ ডিগ্রির ঘরে বিরাজ করছে। সন্ধার পর উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশা গোটা এলাকাঢেকে যায়।

এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পঞ্চগড়ে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এদিন দিনাজপুর এবং নওগাঁ’র বদলগাছিতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের দাপট বাড়ায় বাজারে গরম পোশাক বিক্রি বেড়েছে। অনেকেই তৈরী করছে নতুন লেপ-তোষক। ফলে লেপ-তোষক তৈরী কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। স্থানীয়রা জানান, বেলা গড়াতেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। মধ্য রাত থেকে ভোর রাত পযন্ত অনুভুতহয় তীব্র শীত। দিনের বেলাও তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। অটো রিক্সা চালক জমির উদ্দীন বলেন, সকালে গাড়ী নিয়ে বের হওয়া যায় না। একদিকে ঠান্ডা ,অপরদিকে কুয়াশা। কুয়াশায় রাস্তা-ঘাট ঠিকমত দেখাই যায় না। জনৈক কৃষক বলেন, রাত থেকে সকাল অবধি ঠান্ডা আর কুয়াশায় কাহিল আমাদের মত গরীবরা। শীতের কাপড়-চোপড় তেমন নাই। সকাল হলেই মাঠে কাজে যেতেহয়। ঠান্ডায় অনেক কষ্ট হয়।

এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রার তারতম্যে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ¦র, সর্দি, কাশি,শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া,নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে ভিড় বাড়ছে। এরমধ্যে বেশীর ভাগই শিশু।চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বাড়ছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে রোগজীবানুর পরিমান বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাশি,শ্বাসকষ্ট বেশী হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হয়।

তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে। আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, আটোয়ারী হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হাসপাতালে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্টরা সার্বক্ষনিক রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাসেল শাহ মোবাইল ফোনে জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এবছর এখন পর্যন্ত জেলায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সিলসিয়াসের নিচে নামেনি।