Home জাতীয় দুর্যোগ কবলিত মানুষের অবস্থা জানতে কাল খুলনার কয়রা যাচ্ছেন সুইডেনের রাজকন্যা

দুর্যোগ কবলিত মানুষের অবস্থা জানতে কাল খুলনার কয়রা যাচ্ছেন সুইডেনের রাজকন্যা

557

খুলনা অফিস: দুর্যোগ কবলিত মানুষের অবস্থা জানতে, বিশেষ করে সুপেয় পানির সংকট সমাধানের বিষয়ে মতামত গ্রহণে আগামীকাল মঙ্গলবার খুলনা জেলার কয়রায় যাচ্ছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের রাজকন্যা প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া। তার সঙ্গে থাকছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তাদেরকে বরণে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চার দিনের সফরে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। আজ সোমবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিক্টোরিয়াকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ১৮ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন তিনি। এর মধ্যে ১৯ মার্চ তিনি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা পরিদর্শনে করবেন। তিনি স্থানীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়াসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় লোকজনের জীবনমান নিজ চোখে দেখা, লিঙ্গ সমতা, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর দেখা, মদিনাবাদ স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং চলমান কয়রার দুর্যোগ কবলিত চ্যালেঞ্জগুলো পরিদর্শন করবেন। রাষ্ট্রীয় অতিথিকে বরণে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জানাগেছে, ইউএনডিপি শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া ওই এলাকায় যাচ্ছেন। তিনি কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের নয়ানি গ্রামে প্রায় দুই হাজার মানুষের খাবার পানির উৎস রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন। আরো কি করণীয় আছে, সে বিষয়ে মতামত গ্রহণ করবেন। প্রায় ৪১ হাজার জনসংখ্যার এ ইউনিয়নের ১২ গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। বছরের তিন মাস বৃষ্টির পানিতে চললেও বাকি ৯ মাস অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। তাই সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে ভাগবা, মহেশ্বরীপুর, সাতহালিয়া ও নয়ানি গ্রামে চারটি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এক হাজার ৬০০ মানুষ ছয় মাস খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারেন। বাকি ছয় মাস এসব উপকারভোগীকেও ড্রামপ্রতি ৬০ টাকা দিয়ে খাবার পানি কিনতে হয়। তবে ঘর-গৃহস্থালিসহ অন্যান্য কাজ নদীর নোনা পানি দিয়েই সারতে হয়। এতে সারা বছর তাদের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হয়।