Home সারাদেশ দুই সাবেক চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ

দুই সাবেক চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ

34

ডেস্ক রিপোর্ট: ভোলার লালমোহনের চরভূতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো: হোসেন হাওলাদার এবং তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নানকে গ্রেফতার করেছে লালমোহন থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ভোলা সদর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারের পর দিন শুক্রবার পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানী ঢাকার বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের এই অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতার চেয়ারম্যানের ভাই মিজানুর রহমান টিপু জানান, সম্প্রতি বর্তমান সংসদ সদস্যদের সমর্থক ও আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর রেশ ধরে গ্রেফতারকৃতদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিচারের দাবি করেন সাবেক এই দুই চেয়ারম্যান। এর ফলে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে তাদের গ্রেফতার করিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সক্রিয় সমর্থক হওয়ায় গত এক বছর ধরে আওয়ামী লীগের এই নেতাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন বর্তমান এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। গত ২৪ জুন হোসেন হাওলাদারের বাড়িতে এবং ২৫ জুন রিয়াদ হোসেন হান্নানের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এমপির সমর্থকরা। হামলা ও ভাঙচুরের পরে হোসেন হাওলাদারকে চারটি মামলায় ও রিয়াদ হোসেন হান্নানকে তিনটি মামলায় আসামি করা হয়। পরবর্তীতে ২৭ জুন ভোলা প্রেস ক্লাব হলরুমে হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন হোসেন হাওলাদার ও রিয়াদ হোসেন হান্নান। এতে ক্ষুব্ধ চরম ক্ষুদ্ব ছিলেন এমপি।
মলং চড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আজাদ এ বিষয়ে জানান, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করানো হয়েছে। নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসব কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে বর্তমান এমপি তার অবস্থা আরো দুবর্ল করে ফেলছে। বর্তমান এমপি চান না, তার প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ মাঠে থাকুক। তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারসহ অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পক্ষ নেয়ার কারণেই শুধু গত এক বছরে এমপি তার লোকজনকে দিয়ে ৭৫টি মামলা দিয়েছে। যাদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে তারাও সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।