Home সারাদেশ দুই মাদক কারবারিকে আটকের বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং।

দুই মাদক কারবারিকে আটকের বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং।

94

মোঃ মহশীন আলী, রংপুর অফিস: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ১০ হাজার পিচ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার উত্তম কুমার প্রসাদ পাঠক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার ভেবড়া গ্রামের পেশাল উদ্দিনের ছেলে মো. ইমাম হোসেন (৫০) ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার খাটিয়ামারি গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (৪০)।

পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সবসময় মাদকসহ সকল প্রকার অপকর্মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের সাথে কোন আপোষ নয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পীরগঞ্জ উপজেলার জয় বাংলা মোড় রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মাদকের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বাঁচতে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান করেন।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মাদক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনে ১০ হাজার পিচ ইয়াবা বহন করে পীরগঞ্জ রেল স্টেশনে নেমে ইমাম উদ্দিনকে হস্তান্তর করার সময় তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল। যার আনুমানিক মূল্য ৩০লক্ষ টাকা। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ট্রেনের টিকিট, সিমসহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন ডিবি মো. নবিউল ইসলাম।

উল্লেখ্য, মাদক কারবারি ইমাম হোসেন মাদকের সঙ্গে জাল টাকা কারবারের ব্যবসার সাথেও জড়িত। তিনি এর আগেও একাধিকবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারো মাদকসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ও চোরা কারবারিদের সঙ্গে তার অনেক অবৈধ কারবার রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ বিভাগের মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের মোছা. লিজা বেগম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।