Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ইবির ক্যাফেটেরিয়া ; দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ইবির ক্যাফেটেরিয়া ; দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

70

নূর ই আলম,ইবি প্রতিনিধি: প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিকট খাবার দাবারের জন্য এক বিশ্বস্ত সেবার নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রয়েছে প্রায় দীর্ঘ ১ বছর ধরে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকায় হোটেল ও দোকানগুলো থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বাইরের দোকান থেকে বেশি দামে খাবার কিনতে হচ্ছে। এতে সময় এবং অর্থ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি হলের মানহীন খাবারে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এসব খাবার খেয়ে নানারকম অসুস্থতায় পতিত হচ্ছি প্রায়শই।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাফেটেরিয়া এক পরিত্যক্ত রুমের রূপ নিয়েছে অযত্নে অবহেলায়। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চগুলো ধূলোময়লায় জর্জরিত হয়ে যত্রতত্র এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে আছে। একসময় ক্যাফেটেরিয়া আড্ডা, গানগল্প কিংবা গ্রুপ স্টাডিতে প্রাণবন্ত থাকলেও এখন তা নিষ্প্রাণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা পরবর্তী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকালীন সময়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২৩ সালের ১২ মার্চ লোকসান হওয়ায় ক্যাফেটেরিয়া চালাতে অপারগতা প্রকাশ করে অব্যহতি পত্র দেন সাবেক ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম কলম। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৭ আগস্ট আবারো চালু হয় ইবির ক্যাফে৷ কিন্তু চালুর মাস না পেরোতেই আবারো ম্যানেজার পদ থেকে ইস্তফা দেন নতুন ম্যানেজার রাজিব মন্ডল। সেই থেকে এখনো বন্ধ আছে ক্যাফে’টি।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, ক্যাফেটেরিয়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের বিকল্প যে ব্যবস্থা, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সেটি এখানেই খোঁজে। কিন্তু খাবারের মানের দিকটি বিবেচনা করে আমরা যে নীতিমালা অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান করি তাতে সাড়া পাওয়া যায় না। তবে লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলে যে আমরা থেমে যাব এমনটি ভাবার কারণ নেই। কমিটির সদস্যরা বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।

জানতে চাইলে টিএসসিসির পরিচালক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, একটি ক্যাফেটেরিয়া তো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। অনেক প্রচেষ্টার পর আমাদের ক্যাফেটেরিয়া চালু করা হয়েছিল কিন্তু ভর্তুকি না থাকায় যারা ক্যাফেটেরিয়া চালাতে আসেন তারা লাভের মুখ না দেখার অজুহাত দিয়ে চলে যান। এখন অন্য কোন উপায়ে ক্যাফেটেরিয়া চালু করা যায় কিনা সেই প্রচেষ্টা চলমান আছে।