Home রাজনীতি দিল্লির পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলার নির্বাচন হবে না : ১২ দলীয় জোট

দিল্লির পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলার নির্বাচন হবে না : ১২ দলীয় জোট

19

স্টাফ রিপোটার: দিল্লীর পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশে আরেকটি নির্বাচন হবে না হুশিয়ারি দিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এই বাংলার মাটি যেমন উর্বর তেমনি তেজস্ক্রিয়। যদি একবার বাংলার মানুষ গর্জে উঠে তখন তরুণ-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ বাঁশের লাঠি নিয়ে দিল্লীকে প্রতিরোধ করবে। সুতরাং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত আবার পাতানো নির্বাচনের খেলায় মেতে উঠবেন না। নেতৃবৃন্দ বলেন, কথা বার্তা পরিষ্কার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতীয়রা হস্তক্ষেপ চালালে এবার তার পরিনাম শুভ হবে না।

বুধবার দুপুরে রাজ-বন্দীদের মুক্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে ১২ দলীয় জোটের অবরোধ সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিজয় নগর ঘুরে পল্টন মোড় এসে শেষ হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য জোট নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নিতে চান অনতিবিলম্বে এই তামাশার নির্বাচনের তপশিল বাতিল করুন। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তবে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে নির্বাচনকালীন আলোচনায় উত্তরণের পথটা এখনো একেবারে শেষ হয়ে যায় নাই। তিনি বলেন, এই বিজয়ের মাসেই কঠোর আন্দোলনের মুখে আওয়ামী অবৈধ সরকারের পতন সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা ও নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ এবং বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, বাংলার মাটি ও মানুষ নিয়ে খেলা করার ‘দিল্লী কে? কথাবার্তা পরিষ্কার দিল্লী -জালীম শাহী শেখ হাসিনা অথবা আওয়ামী লীগের বন্ধু হতে পারে, তবে বাংলাদেশের প্রভূ নয়। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত বাংলার মেহনতি মানুষের সাথে দিল্লী বেনিয়ার মত আচরণ করে যাচ্ছে। হাসিনা – মোদীর গোলামী চুক্তি কখনো ভারত বাংলাদেশ জনগণকে এক ফোটা পানি দিতে পারেনি। অথচ প্রতিনিয়ত ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী সীমান্তে বাংলার মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা চালাচ্ছে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে, তেমনি ভারতীয় উগ্রবাদী মোদীর হাতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষাক্ত হচ্ছে।

বিক্ষোভ মিছিল সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মূখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্য জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস রেজা।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির, তমিজউদদীন টিটু, সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, জমিয়তের মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, যুব জাগপার নেতা মনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী,ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন , ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ, ছাত্র মিশনের মোঃ মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমূখ।