Home রাজনীতি দলীয় সরাকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: মির্জা ফকরুল

দলীয় সরাকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: মির্জা ফকরুল

26

রংপুর অফিস: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনই প্রমাণ করে দলীয় সরাকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একথা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, যা প্রমাণিত হলো। কাজেই গণতন্ত্র ধ্বংসকারী এ সরকারকে হটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না দেওয়া পর্যন্ত এই সংকট থেকে উত্তোরণ হওয়া সম্ভব নয় । আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের ভাগ বাটোয়ারা ঠিকমতো না হওয়ার কারণেই গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আবারও প্রমাণিত হলো যে, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারার কারণেই নিজেরাই নির্বাচনকে বন্ধ করেছেন। আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের ভোট তা আবারও প্রমাণ করেছে। সেই সঙ্গে এটাও প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন একটি ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও বলেন, গতকাল চট্টগ্রামের সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতি জানান দিয়েছে সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। এর মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মহাসংকটের প্রস্তুতি নেওয়ার বক্তব্য নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি দুর্ভিক্ষ হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী আছেন কেন? দুর্ভিক্ষ নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব তো তার। যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তাহলে আপনি পদত্যাগ করুন। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে না পারলে আপনার প্রধানমন্ত্রী থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে পুরো দমে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। নতুন একটি বিজ্ঞপ্তিতে ২৯টি বিভাগকে ডিজিটাল সিকিউরিটি ১৫ এর (ক) ধারায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এর কারণ হলো, এই বিভাগগুলো নিয়ে সাংবাদিকরা ইচ্ছে করলেই কোনো কিছু বলতে ও লিখতে পারবেন না। আপনারা এটা কেউ দেখেননি, পড়েননি? অথচ এটা যে কত বড় সর্বনাশ হয়েছে তা আজ পর্যন্ত কোন সাংবাদিক সংস্থাসহ কেউ বলেনি। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মির্জা ফখরুল বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।