Home জাতীয় দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে ভোলার গ্যাস ব্যবহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে ভোলার গ্যাস ব্যবহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

282

ইন্টাকোর সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের দাবি

স্টাফ রিপোটার: ভোলার গ্যাস দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে ব্যাবহারের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৭ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে ভোলার গ্যাস রক্ষা আন্দোলন, ঢাকার সমন্বয়কারী সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম সুজনের সমাবেশের সভাপতিত্ব এ কর্মসুচি পালিত হয়। সমাবেশ পরিচালনা করেন, যুগ্ম সমন্বয়কারী খান আসাদুজ্জামান মাসুম এবং সাজ্জাদ হোসেন।
বক্তব্য রাখেন, রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, ডা. হারুন অর রশিদ, আইনজীবী নেতা এড. আবু হানিফ, যুবনেতা মোহাম্মদ সামসুল ইসলাম সুমন, ছাত্রনেতা গৌতম শীল, দিপ্ত মিত্র, সাব এডিটর কাউন্সিলের দপ্তর সম্পাদক এড. মামুন, রিপোটার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক জিলানী মিল্টন, আশিকুল ইসলাম জুয়েল।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উত্তম দাস, আফজাল হোসেন বাচ্চু, এড. নুরুদ্দীন, শংকর মন্ডল, মনিরুজ্জামান মনির, অনুপ কুমার কুন্ড, হুমায়ূন কবির মন্টু, কাজী মঞ্জরুল ইসলাম শাহীন, মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালে আবিস্কৃত ভোলার প্রথম গ্যাসকুপ শাহাবাজপুরের গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত ৪৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স ০৯টি কুপ খনন করে ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভোলার এ গ্যাস পিছিয়ে পড়া দক্ষিনাঞ্চলের শিল্পায়নে ব্যবহার করে ব্যাপক কর্মসংস্থান করা সম্ভব। জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি মহল ভোলার গ্যাস দক্ষিনের উন্নয়নের কাজে না লাগিয়ে দেশী-বিদেশী কম্পানীর স্বার্থে ইতিপুর্বে বিদেশে রপ্তানীর পায়তারা করেছে, আবার এখন দেশের গ্যাসের সংকটকে পুজি করে ইন্টাকো নামে একটি কম্পানীকে দিয়ে ভোলার গ্যাস অন্যত্র ব্যবহারে পায়তারা করছে।

বক্তারা আরও বলেন, পর্যাপ্ত শিল্প উপযোগী জমি, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের হাব তৈরী হওয়া এবং পদ্মা সেতুর কল্যানে যে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের জন্য ভোলা গ্যাস খুবই গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখতে পারবে। তাই দক্ষিনাঞ্চলবাসীর বৃহত স্বার্থে ইন্টাকো কম্পানীর সাথে সম্পাদিত ভোলার গ্যাস বিক্রির চুক্তি বাতিল করতে হবে। তারা বলেন, দেশের স্বার্থে যদি ভোলার গ্যাস ব্যবহার একান্তই করতে হয় সেক্ষেত্রে- দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়নের জন্য আগামী ৩০বছর কি পরিমান গ্যাস প্রয়োজন রয়েছে সেটা নির্ধারন করে সে পরিমান গ্যাস মজুদ রাখতে হবে। এর বাইরে যে কোন উদ্যোগ আমার দক্ষিনাঞ্চলের নাগরিকরা প্রতিরোধ করবো।

সসমাবেশে বক্তারা, আগামী ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোলায় দক্ষিনাঞ্চলের জেলা সমুহের ঘেরাও কর্মসুচি সফল করার আহবান জানানো হয়।