Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবিতে মারামারি; আহত ১০

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবিতে মারামারি; আহত ১০

37

ইবি প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে দুই পক্ষ। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হবার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

কথা কাটাকাটির জেড়ে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে বাকবিতন্ডা, হাতাহাতিতে লিপ্ত হন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচ চলাকালে ফুটবল মাঠে ক্রিকেট টিমের ফিল্ডার দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ঘটনার জেড়ে পরবর্তীতে কথা-কাটাকাটি রূপ নেয় ররক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। এসময় ব্যাট স্ট্যাম্প এবং বাঁশ নিয়ে মারামারিতে জড়ান উভয়পক্ষের খেলোয়াড়েরা। এসময় হাত ভাঙা এবং মাথা ফাটাফাটির ঘটনা ঘটে।

আহত ফুটবল টিমের সদস্য এবং ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কবির বলেন, আমরা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতেছিলাম, মাঠের অন্য পাশে দুর্জয়(মার্কেটিং ১৯-২০), হাফিজ, রিয়াজ, রিফাত সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেট খেলতেছিলেন। একই মাঠে খেলার কারণে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তার একপর্যায়ে হাফিজ স্টাম্প নিয়ে আমাকে মারতে আসেন। তখন আমাদের দুপক্ষের মধ্যে বেশ ধাক্কাধাক্কি হয় এবং দুর্জয়ের নাকে আঘাত লাগে। আমার পায়েও অল্প ব্যাথা পাই।

পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় এবং আমরা মাঠে খেলা চলমান রাখি। কিছুক্ষণ পর তারা আবারও মাঠে আসে সাঙ্গপাঙ্গ, স্টাম্প ও লাঠি নিয়ে এবং আমাদের টিমের গোলকিপার কে প্রচুর মারধর করে। তখন আমাদের মধ্যে আবারও মারামারি শুরু হয়ে যায়।
এতে আমি, মেজবা,জিয়ন, বিজন সহ আমার সাথে থাকা বেশ কয়েকজন সহপাঠী আহত হই।
এই ঘটনার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।

অপরদিকে মারামারিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাকি বলেন, তারা মাঠের বাইরে থেকে এসে আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের বন্ধুদের মারতে শুরু করার পর আমরা ৭-৮ জন গিয়েছিলাম সমস্যা সমাধান করার জন্য। তখন আমাদের পিছন দিক থেকে অতর্কিতভাবে মারা শুরু করে। পরবর্তীতে আমাদের বন্ধুবান্ধব আসছে যখন, ওরা আবারও পরে বাঁশ নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আমরা পুরপুরি নিরস্ত্র ছিলাম। ওদের মধ্যে জিয়ন, কবির ছিল তবে অনেক লোক থাকায় সবাইকে দেখতে পাইনি।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, চিকিৎসা নিতে আসা ৫ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত একজনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৪ জনের মধ্যে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ২ জন এবং বুকে, পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হলে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, প্রশাসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বিক বিষয় আলোচনা করে মনে করছি এটা একটি নিতান্তই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে। এটি কোনো রাজনৈতিক, হলকেন্দ্রিক উসকানিমূলক ঘটনা নয়। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তরার স্বার্থে আমরা প্রস্তুত আছি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।