Home জাতীয় তালায় ৪ টি স্লুইচ গেট সংস্কারে ১৯ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ; প্রশাসন...

তালায় ৪ টি স্লুইচ গেট সংস্কারে ১৯ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ; প্রশাসন নীরব!

62

তালা( সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় এল,জি,ই,ডি’র বাঁধে কপোতাক্ষ নদের সাথে সংযুক্ত ৪ টি সুইচ গেট সংস্কার পাইপের গেট নির্মাণ ১৯ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। যাহা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে করা হয়েছে যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুটিং এর কাজ করা লোকাল বাজারের সাইকেলের দোকানদার অকপটে বলেন ৪ টি গেটের ঢাকনি সংস্কারে ৫০ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন মেম্বর আনারুল শেখ গেটের ঢাকনি উঠায়ে নিয়ে সাইকেলের মিস্ত্রি দিয়ে নিন্মমানের পাত ও প্লাস্টিক দিয়ে সংস্কারের নামে পুটিং ও রং এর কাজ করাচ্ছে যাহা টেকসই হবে না। পানির চাপে ঢাকনি অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যাবে।এমন আশাংকা এলাকাবাসীর। সূত্র ও দরপত্র মোতাবেক দেখা যায় ২৫০০ কেজি লোহার পাত দিয়ে ঢাকনি সংস্কার করার কথা, সেখানে নাম মাত্র পাত এনে পুটিং করা হচ্ছে। টেন্ডার মোতাবেক দেখা যায় ৪ টি স্লুইচ গেটের ঢাকনি সহ গেটের রেলিং সংস্কারে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিছে এবং ৩ টি খালে সিমেন্টের পাইপ দিয়ে গেট তৈরি তে ৯ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিছে। দরপত্র মোতাবেক স্থানীয় ভাবে খুব মজবুত করে পাইপ তৈরি করার কথা থাকলে ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি মেম্বর আনারুল শেখ নিন্মমানের রেডিমেড পাইপ কিনে আনছে বলে ভুক্তভুগী এলাকাবাসী জানান। চরকানাইদিয়া গ্রামের কাটাখালী নামক স্থানে ( বুধুর ভাটা) সহ ৩ টি স্পটের জন্য রেডিমেড পাইপ আনছে তাতে ফাটল ধরছে এবং সিমেন্ট বালি দিয়ে পুটিং করা হইছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর কতৃক তালা উপজেলাধীন জেঠুয়া ও কানাইদিয়ার উপ প্রকল্প এস পি নং ১৫৩৩৫ এর ২০২০-২০২১ অর্থবছরে স্লুইচগেট সংস্কারে ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ১ শত ৩০ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে ৪ টি গেটের ঢাকনিও রেলিং সংস্কার এবং ৩ টি খালের মুখে সিমেন্টের তৈরি পাইপ দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা। এলাকাবাসী বলছেন ১৫ টি পাইপের মূল্য সর্বোচচ ৭৫ হাজার টাকা হতে পারে যার জন্য বরাদ্দ ৯ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।
রহস্যজনক বিষয় তালা উপজেলা LGED অফিস ও এ কাজটির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার তাঁর নাম ও প্রতিষ্টানের পরিচয় গোপন করে নামে মাত্র কাজ করছে।কাজের মেয়াদ ৬ এপ্রিল ২০২২ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার ৯ এপ্রিল সকালে ঢাকনি দেখা গেছে কানাইদিয়া রথখোলা বাজারের সাইকেলের দোকানে এবং কোন পাইপ লাগানো হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,পুরাতন পাট উঠিয়ে তাতে রং করা সহ প্লাষ্টিক এর পুটিং দিয়ে যেনতেন ভাবে প্রস্তুত করেছে।ঠিকাদারের কাজের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার, চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি স্থানীয় মেম্বর আনারুল শেখ এর বাড়িতে অবস্থান নিয়ে তার অবৈধ পেশি শক্তির বলে এ কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। অথচ তালা LGED অফিসের তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তা ব্যক্তিরা রয়েছে নীরব। LGED এর সাড়ে ১৪ কিলোমিটার বাঁধের স্লুইচ গেট সংরক্ষনের দায়িত্ব প্রাপ্ত জেঠুয়া কানাইদিয়া ( পাববস) লিং এর সভাপতি সুলতান আহম্মেদ বললেন ভিন্ন কথা, তিনি জানান, আমি সভাপতি অথচ আমাকে বাদ দিয়ে LGED সাতক্ষীরা ও তালা উপজেলা অফিসের প্রকৌশলী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজসে তার দূ,জন প্রতিনিধিকে দিয়ে সংস্কারের নামে লুটপাটের কাজটি করছে।আমি এ বিষয়টি ঢাকার পিডিকে অবশ্যই জানাবো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি জানান সাতক্ষীরা LGED অফিসের এ্যাসিসটেন্ট ইন্জিনিয়ারি মোঃ সাইফুল ইসলাম গেটের ঢাকনি ও পাইপ নির্মাণে দিক নির্দেশনা দিলে ও তারঁ নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছে ঠিকাদারের কথিত সুপারভাইজার ও চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি মেম্বর আনারুল শেখ। এদিকে পুটিং এর কাজে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি জানায় ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে পুটিং ও রংঙের কাজ করছি। এর চেয়ে ভাল করে করতে হলে নতুন করে চুক্তি করতে হবে। বিষয়টি স্থানীয় সুফলভোগী একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন,যে ভাবে এ স্লুইচগেটের ঢাকনির সংস্কার কাজ করা হয়েছে তার কোন সুফল আমরা পাব না।বরং বর্ষা মৌসুমে বন্যাকবলিত এ এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডি-র প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন কাজের মান খারাপ হচ্ছে এ অভিযোগ এসেছে।তবে কাজ দরপত্র অনুযায়ী না হলে বিল ছাড় করা হবে না।এলাকাবাসী জানিয়েছেন,অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাজ সঠিকভাবে করার নির্দেশনা দিলেও তা মানা হচ্ছে না। সাতক্ষীরা জেলা LGED অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন পাল বলেন স্থানীয়ভাবে মজবুত করে সিমেন্টের পাইপ তৈরির কথা বিষয়টি দেখার জন্য তালা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার কে বলছি।