Home সারাদেশ তালার “স্বপ্নচারী কানাইদিয়া’ সংগঠনের আয়োজনে সংবর্ধনা প্রদান।

তালার “স্বপ্নচারী কানাইদিয়া’ সংগঠনের আয়োজনে সংবর্ধনা প্রদান।

112

নজরুল ইসলাম, তালা, সাতক্ষীরা: আজ ৩০ জুন সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য গুণীজন সংবর্ধনা এবং কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান আর বিকালে প্রীতিফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন নবীন আর প্রবীণের সেতুবন্ধনে কানাইদিয়া গ্রামে সারাদিন এক উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছিল।

স্বপ্নচারী-কানাইদিয়ার সভাপতি, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার পাল তাঁর বক্তব্যে গর্ব করেই বলেন যে, “আমার গ্রামে অনেক শিক্ষক রয়েছেন, এত শিক্ষক একসাথে খুব কম গ্রামেই দেখা যায়; এই শিক্ষকদের কাজে লাগাতে পারলে গ্রামকে সুশিক্ষিত করে তোলা সম্ভব।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক শেখ আকরাম উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক নাজমুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান মোড়ল আব্দুর রশীদ ও শিক্ষক মৃণাল কান্তি দাশ।

জাতীয় সংগীতের পর পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং শ্রীমদভগ্বত গীতা থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। সাংগঠনিক সম্পাদক উদয় মণ্ডল সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন। সাধারণ সম্পাদক শেখ খসরুজ্জামান তুহিন স্বাগত বক্তব্যে স্বপ্নচারী কানাইদিয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বর্ণনা করেন। সাম্প্রতিক কালে গড়ে ওঠা এই সংগঠন ইতিমধ্যেই শতাধিক পরিবাকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। অবসরপ্রাপ্ত সকল শিক্ষকদের সম্মাননা জানিয়েছে। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক এনে নকশিকাঁথা প্রশিক্ষণ কর্মশালার মতো কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। দারুণভাবে সূচনা হয়েছে স্বপ্নের বুনন।

অধ্যাপক জনাব নাজমুল হক তাঁর বক্তব্যে দেবরাজ বৃহস্পতিপুত্র কচ ও অসুরাজ্যের সুন্দরী দেবযানীর পৌরাণিক কাহিনীর অবতারণা করে বলেন যে, “কচ যেভাবে নিজের সাধনায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থেকে দেবতাদের জন্যে গুপ্তবিদ্যা নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছিলেন তেমনি স্বপ্নচারী কানাইদিয়ার সদস্যদেরও তাদের উদ্দেশ্যে অবিচল থেকে সামনে অগ্রসর হতে হবে

প্রধান অতিথি প্রবীন শিক্ষক শেখ আকরাম উদ্দীন মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন প্রসঙ্গ উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য গুণীজন, ও কৃতী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।

অতঃপর সভাপতি অধ্যাপক জনাব ডা. অশোক কুমার পাল তাঁর সমাপনী বক্তব্যে এই অনুষ্ঠানটিকে সার্থক করে তোলার জন্যে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। স্বপ্নচারী কানাইদিয়াকে আরও বেশি সক্ষম ও স্বার্থক করে তোলার জন্যে তিনি গ্রামের সবাইকে এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “জন্মভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা যায় না।” স্বপ্নচারী কানাইদিয়ার স্বপ্নকে সার্থক করতে তিনি নির্মোহভাবে কাজ করে যাওয়ার অনুরোধ করেন। স্বপ্নচারী কানাইদিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে যে উপদেশ পরামর্শগুলো এসেছে সেগুলোকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, শেখ আব্দুর রশীদ, মীর মহসীন হোসেন এবং প্রসেনজিৎ পাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আখতার শম্পা, মোঃ আব্দুর রশীদ, শক্তি সাধন দত্ত, রবিউল ইসলাম, আনন্দ পাল, শেখ মাঈনউদ্দিন, মোফাররা মুন্নী সহ গ্রামের গুণী জন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।