Home সারাদেশ তানোরে ভুল তথ্যে নলকূপ স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগ

তানোরে ভুল তথ্যে নলকূপ স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগ

32

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে ভুল তথ্য দিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্তি গভীর নলকূপ (ডিপ) স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যক্রম বন্ধে উপজেলা সেচ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুনসুর রহমান ও সামসুদ্দিন মোল্লা নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুজিশহর মৌজার ফসলি মাঠে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুশিশহর এলাকার ১৬৭ নম্বর জে.এল এ প্রায় ১৩ বছর আগে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন নিয়ে আর.এস ২৪৮ নং দাগের উপরে একটি এসটিডবিøউ সেচ মটর স্থাপন করেন কুজিশহর গ্রামের মুনসুর রহমান এবং একই মৌজায় আর.এস ৩৫০ নং দাগের উপরে থাকা বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি গভীর নলকূপ প্রায় ৩৩ বছর আগে ক্রয় করে কৃষকদের জমিতে সুষ্ঠ ভাবে পানি সেচ দিয়ে আসছে কুজিশহর গ্রামের সামসুদ্দিন মোল্লা নামে আরেক ব্যক্তি। তাঁরা দু’জনে ওই মৌজার ফসলি মাঠে দীর্ঘদিন ধরে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তবে বিগত কয়েকমাস ধরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ওই মৌজার আর.এস ২৫২ নম্বর দাগের প্রায় ৯/১০ বছর আগে বিএমডি’র অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা এবং পরবর্তীতে বিলুপ্তি হয়ে যাওয়া একটি নলকূপ পুনরায় চালু করার জোর চেষ্টা করছে। মূলত বিএমডি’র ওই নলকূপ (ডিপ) পানি না উঠায় সেসময়ে ওই স্থান থেকে একবারে তুলে আনা হয় এবং পরবর্তীতে স্থানীয় বর্তমান সংসদ সদস্যের সুপারিশে ওই স্থানে মুনসুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে ওই স্থানের পাশে তাঁর নিজ জমিতে এসটিডবিøউ সেচ মটর স্থাপনের অনুমোদন দেয় উপজেলা সেচ কমিটি। তবে অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় স্থানীয় সুবিধাবাদী কয়েকজন ব্যক্তি বর্তমানে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে সামসুদ্দিন মোল্লা ও মুনসুর রহমান এ দু’জনের অনুমোদিত স্কীমের মধ্যে পুনরায় আরেকটি বিএমডি’র নলকূপ স্থাপন করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই দুই নলকূপের অপারেটর।
নলকূপের অপারেটর মুনসুর রহমান বলেন, তাঁদের অনুমোদিত স্কীমের মধ্যে ভুল তথ্য দিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্তি গভীর নলকূপ (ডিপ) স্থাপনের চেষ্টা করছে কয়েকজন। আর তা বাস্তবায়ন হলে আমরা ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়বো। এছাড়াও বরেন্দ্র অঞ্চলে দিনদিন পানি শূন্যতা বাড়ছেই, তার মধ্যে পাশাপাশি দুটো গভীর ও অগভীর নলকূপ থাকার পরও নতুন করে কোন নলকূপ স্থাপন করা হলে তা ভূগর্ভস্থ পানি শূন্যতার পথে নিয়ে যাবে। আমরা বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছি, আশা করছি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।
এ নিয়ে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।