Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালিত

22

অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সোচ্চার থাকবে: ঢাবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চা আরও বেগবান করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, অসাংবিধানিক শক্তির উত্থান ঘটলে দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। সকল অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সবসময় সোচ্চার থাকবেন। কালো দিবস উপলক্ষ্যে আজ ২৩ আগস্ট বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ২০০৭ সালের ২৩ আগস্টের ঘটনায় কারা নির্যাতিত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহিদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞের ঘটনা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার ন্যক্কারজনক ঘটনা এবং ২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি এসব বেদনার্ত, নির্মম ও নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়েছিল। এরা গণতন্ত্রের শত্রæ, সংবিধানের শত্রæ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই ২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত শাসন ও ২০-২৩ আগস্টের ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করি। সেসময় এক কঠিন পরিস্থিতিতে নানা ঝুঁকি নিয়ে আমাদের অগ্রসর হতে হয়েছিলো। সংবিধান পরিপন্থী সকল অশুভ শক্তির উত্থান প্রতিহত করতে ভবিষ্যতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাহসী ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
২০০৭ সালের ২৩ আগস্টের ঘটনাকে জাতির জীবনে এক কালো অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক ভাবধারায় বাংলাদেশকে পরিচালিত করার হীন চেষ্টা চালিয়েছিল। সেসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সারা দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণ করে দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় সর্বদা সোচ্চার থাকার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রতি উপাচার্য আহবান জানান।