স্টাফ রিপোটর: সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পরিষদের সভাপতি কমরেড ভু অং ডিন হিউ- এর নেতৃত্বে ঢাকা সফররত ভিয়েতনামী প্রতিনিধিদলের সাথে আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সকাল সাড়ে নয়টায় স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম- এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এএন রাশেদা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম. এম আকাশ এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এড. হাসান তারিক চৌধুরী। এ সময় সিপিবি নেতৃবৃন্দ ভিয়েতনামের নেতৃবৃন্দদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

বৈঠকে ভিয়েতনামের নেতা ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনামের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে কথা বলায় শহীদ ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মতিউল ও কাদেরের কথা স্মরণ করেন এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। কমরেড ভু অং তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির যুগ যুগের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব রয়েছে। যা ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সাথেও ভিয়েতনামের জনগণের গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব রয়েছে। যা দিনে দিনে আরো শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টি, জনগণ ও সরকার বাংলাদেশের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকবে।

সিপিবি সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভিয়েতনামের জনগণ ও সেদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অসামান্য সহযোগীতার কথা সিপিবি এবং বাংলাদেশের জনগণ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। তিনি বলেন, ভিয়েতনামের চলমান সমাজতান্ত্রিক কর্মসূচি এবং এর ফলশ্রুতিতে দৃশ্যমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন অন্যান্য তথা বামপন্থীদের জন্য বিশেষভাবে শিক্ষণীয়। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ফরাসী সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বীরোচিত লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে জয়ী হয়ে ভিয়েতনামের পার্টির ইতিহাসে এর মর্যাদাপূর্ণ স্থান অর্জন করেছে। সিপিবি সভাপতি তাঁর বক্তব্যে এশিয়ার যুদ্ধের দামামা বন্ধে এবং টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় সিপিবি’র প্রত্যয়ের কথা পুন:ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নানা বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ এবং বিশেষ করে ন্যাটোর মদদে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি আজ সকলের জন্য এক বিরাট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিপিবি সভাপতি রোহিঙ্গা সমস্যাসহ এশিয়ায় নানাবিধ সমস্যা সমাধানে ভিয়েতনামের সক্রিয় সহযোগীতা কামনা করেন।

বৈঠক শেষে ভিয়েতনামের নেতা সিপিবি’র নেতৃবৃন্দের হাতে একটি শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।