Home জাতীয় ঢাকায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ: কুশপুত্তলিকা দাহ

ঢাকায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ: কুশপুত্তলিকা দাহ

41

স্টাফ রিপোটার: মহান জাতীয় শিক্ষা দিবস ‘২৩ উপলক্ষে ঢাকায় ছাত্র সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। আজ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত ধর্ষণ, যৌণ নিপীড়ন এবং ধর্ষকদের রক্ষার করতে দালালদের দোরাত্ম্য শায়েস্তা করার প্রতীকি হিসেবে ধর্ষক ও দালালদের কুশপুত্তলিকা দাহক্রিয়া করা হয়। ছাত্র সমাবেশ থেকে বক্তারা পাহাড়ে সহপাঠী শিক্ষার্থী বোনদের সম্ভ্রম, নিরাপত্তা ও মান-সম্মত শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।

সভাপতি অঙ্কন চাকমা বলেন, সারা দেশে ৪৫টির অধিক জাতিসত্তার বসবাস থাকলেও স্বাধীনতার ৫২বছরেও সরকার সকল জাতিসত্তার মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। বাঙালি ভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে বর্ণবাদী আচরণ ও বৈষম্য করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং শহরে পাহড়ি শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকুরিতে ন্যায্য কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে এবং মেডিকেলসহ দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রীতি মেনে পাহাড়ি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে না। এভাবে বঞ্চিত রেখে অন্যান্য সমান রাষ্ট্রীয় সুযোগ না দিয়ে একটা দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।

সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ধর্ষক ও দালালদের কুশপুত্তলিকার ওপর জুতা স্যান্ডেল দিয়ে লাঠিপেঠা করে ঘৃণা, ক্ষোভ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সমাবেশের আগে এক মিছিল করা হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, টিএসসি, ঢাবি গ্রন্থাগার, অপরাজেয় বাংলা, ডাকসু প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্য গিয়ে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।