Home সারাদেশ ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবনের পাশে হোটেল ব্যবসায় লাশ উদ্ধার

ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবনের পাশে হোটেল ব্যবসায় লাশ উদ্ধার

23

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজধানীর ডেমরায় ফিরোজ আলম আকাশ (৪০) নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১০ টার দিকে মাথা ফেটে থেতলে যাওয়া রক্তাক্ত লাশটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে বামৈল বালুর মাঠ সংলগ্ন যৌথ মালিকানায় নির্মানাধীন ৯ তলা ভবন সংলগ্ন অভ্যন্তরীণ সড়কের পাশ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের পড়নে দেখা গেছে হলুদ রঙের টি সার্ট ও নীল রঙের জিন্সের পেন্ট। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারনা করছে ৯ তলা ভবন থেকে পড়ে লোকটির মৃত্যু হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে ডেমরা থানায় ওসি (তদন্ত) মো. ফারুক মোল্লা বলেন, এ মৃত্যু নিয়ে রহস্য বুঝা যাচ্ছেনা প্রাথমিকভাবে। এদিকে নির্মাণাধীন ভবনে কাউকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্ত রিপোর্টে সব জানা যাবে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের পরিবারের কেউ অভিযোগ করেনি।

এদিকে মৃতের ভাগিনা জাহিদ ও স্ত্রী রিমির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেলিম নামে ঠিকাদার এক ব্যবসায়ী এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বাড্ডা এলাকায় তার পরিবার নিয়ে থাকেন। একই এলাকায় মৃত আকাশের হোটেল ব্যবসা ছিল। সেই সুবাদে আকাশ ও তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেলিমের। এদিকে গত ৪ মাস যাবত আকাশ জেলে থাকাকালীন মৃতের স্ত্রীকে ডেমরা থানা এলাকায় বাসা ভাড়া করে দেয় ঠিকাদার। তাছাড়া সাংসারিক সকল খরচ বহন করতেন সেলিম। আকাশ গত ৫/৬ দিন আগে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেলিম টাকা ধার দিবে বলে আশ্বস্ত করে। সেই সুবাধে গত সোমবার টাকা ও বাজার সদাই করে দিবে বলে মৃত আকাশকে ওই ভবনে নিয়ে যায় সেলিম। একই দিন রাত ১০ টার দিকে মৃতের স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে সেলিম বলে তার স্বামী এক্সিডেন্ট করছে এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ঠিকাদার সেলিমকে মোবাইলে কল করে আর পায়নি মিত্রের স্ত্রী।