Home জাতীয় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর আরো জোর দিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর আরো জোর দিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

27

স্টাফ রিপোটার: ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুটি মূল কারণ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, এর একটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত থেমে থেমে বৃষ্টি সাথে উষ্ণ আবহাওয়া যা এডিস মশা জন্মানোর জন্য উপযুক্ত আর অন্যটি হচ্ছে নিজ বসতবাড়ি এবং এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমরা সচেতন হলেই এডিস মশার জন্মানোর উৎস ধ্বংস করতে পারি।

তিনি আজ ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ইউনিসেফের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ শের আলী । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডঃ এন্থনি এসহোফনি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম । অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেংগু সিনড্রোমের ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থাপনার উপর জাতীয় নির্দেশিকা প্রস্তুতকারী প্রফেসর ড. কাজী তরিকুল ইসলাম।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, “নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি” এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে মারাত্মক ডেংগু প্রতিরোধে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে এর প্রজনন স্থান নষ্ট করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগটি এখন আর শুধু শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৭৬ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী ঢাকার বাইরের। ফলে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগ দুটি সারাদেশে সমানভাবে ছড়িয়েছে। সেজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ হতে এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে সারাদেশের ৬৪ জেলায় ১৮ হাজারেরও অধিক স্বেচ্ছাসেবী একযোগে সপ্তাহব্যাপী এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় পৃথিবীর যেসব দেশ ডেঙ্গু রোগে বেশি আক্রান্ত হয় সেসব দেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে কার্যকর কোন উপায় এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারেনি। তাই এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০২১ সালেই ‘ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ’ উদযাপন ও প্রচার অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।