Home জাতীয় টংক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি কুমোদিনী হাজং মারা গেছেন

টংক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি কুমোদিনী হাজং মারা গেছেন

12

ডেস্ক রিপোর্ট: টংক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি কুমোদিনী হাজং মারা গেছে। আজ ২৩ মার্চ দুপুর দেড়টায় বার্ধক্যজনিত কারণে নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার আজ এক শোকবার্তায় বিপ্লবী নেত্রী কুমুদিনী হাজংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন-সহযোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ এক বিবৃতিতে জীবন্ত কিংবদন্তি কুমোদিনী হাজং-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু আজ এক বিবৃতিতে কুমোদিনী হাজং-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান এই বিপ্লবী লড়াকু অসম সাহসী যোদ্ধার মৃত্যুতে জাতি নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের এক অবিসংবাদিত মানুষকে হারালো। কুমুদিনী হাজং-এর মৃত্যুতে দেশের কৃষক-শ্রমিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর চলমান লড়াই সংগ্রামের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
কুমুদিনী হাজং এর মৃত্যুতে আরও শোক জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন ‘জনলোক’ কেন্দ্রীয় সভাপতি , যুগবার্তা ডটকম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ।
এছাড়াও তার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শোক প্রকাম করেছেন।
১৯৩৭ সালে কমরেড মণি সিংহের নেতৃত্বে নেত্রকোণার সুসং দূর্গাপুরে টংক প্রথা বাতিলের দাবিতে যখন দূর্বার আন্দোলন গড়ে ওঠে তখন থেকেই হাজং জনগোষ্ঠীর স্বার্থে সে আন্দোলনে সামিল হন। সেই থেকেই তার লড়াই শুরু। আমৃত্যু তিনি ঐ অঞ্চলের কৃষক, আদিবাসী মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বিষয়ে তিনি সব সময় বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছেন।