Home জাতীয় ঝিনাইগাতীতে ফাঁসিতে ঝুলে এক জননীর আত্মহত্যা

ঝিনাইগাতীতে ফাঁসিতে ঝুলে এক জননীর আত্মহত্যা

37

আনিছ আহমেদ(শেরপুর)প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে রুপা আক্তার (২২) নামে এক সন্তানের জননী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।রুপা নামের এক সন্তানের জননী ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের নুর শাহীনের স্ত্রী। ও রূপা গৃহবধূঁ ও সন্তানের জননী হলেও গৃহিনীর পাশাপাশি ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে পড়াশুনা করতেন এবং চলতি বছরের পরীক্ষার্থী ছিলেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ৩ বছর পূর্বে সম্পর্ক করে শাহীনের সাথে ,রুপা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রুপা আক্তারের উপর নেমে আসে স্বামী- শ্বাশুড়ি সহ শশুর বাড়ির লোকজনের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন।
একমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অমানষিক নির্যাতন সহ্য করে ও স্বামীর সংসার করে আসছিল রুপাা আক্তার। তার স্বামী অটোরিকশা চালক।
সংসারের হাল ধরতে রুপা নিজে শ্রমিকের কাজ করতো। পাশাপাশি পিতার দেয়া খরচে বিএ পড়ালেখা চালিয়ে আসছিল ।
ঘটনার দিন শুক্রবার ১১ মার্চ সকালে রুপার গৃহপালিত একটি ছাগল শ্বাশুড়ি নুরেজা বেগমের কাঁঠাল গাছের একটি চারা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে বউ শ্বাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়।পরে রুপাকে ঘরে গলায় উর্ণা পেচিয়ে আত্মহত্যা করাবস্থায় দেখা যায় ।খবর পেয়ে থানা পুলিশ রুপা আক্তারের লাশ উদ্ধার করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন ।
এ ঘটনার পর থেকে রুপা আক্তারের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলে জানাগেছে।রুপা
আক্তারের পিতা আব্দুল ওয়াহাব ও তার পরিবারের দাবী রূপা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেনি । তাকে হত্যা করা হয়েছে।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, লাশের শরীরে আঘাত বা অন্যকোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।ঝিনাইগাতী থানায় অপমৃত মামলা ‍রুজু করা হয়েছে ।