Home রাজনীতি জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফকরুল

জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফকরুল

38

স্টাফ রিপোটার: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে নতুন কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা একটা নতুন কমিশন গঠন করব। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ষড়ন্ত্রকারী তাদের খুজে বের করব।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।

আজকের এই দিনে আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। এবং বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছেন।

“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দল গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। তিনি সূচনা করেছিলেন গণতন্ত্রের অধ্যায়। তিনি সূচনা করেছিলেন মুক্তবাজার অর্থনীতি। সূচনা করেছিলেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার। তিনি সূচনা করেছিলেন মানুষের মুক্তি মানুষের স্বাধীনতা।”

তিনি বলেন, আমরা এই দিনটিতে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে চাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বর্তমান যিনি আমাদের চেয়ারপারসন যিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সারাটা জীবন সংগ্রাম করছেন এখনো তিনি সংগ্রাম করছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া বিএনপির সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ। কারণ অনির্বাচিত সরকার হত্যা, গুম, খুন নির্যাতন করে জনগণের ন্যায় দাবির আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার কথা জনগণের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন, হত্যা, গুম, খুন করেও নস্যাৎ করা যাবে না। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জনগণের বিজয় হবেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যান্ত লজ্জার সাথে ঘৃণার সাথে আমরা বলতে চাই গত কয়েকদিনে এই ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের ন্যায্য আন্দোলন জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তা দমন করার জন্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, আমির খসর মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজান ওমর, ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়ামের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, বিএনপি মিডিয়ার সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।