Home বাণিজ্য ও অর্থনীতি জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে: শিল্পমন্ত্রী

জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে: শিল্পমন্ত্রী

49

স্টাফ রিপোটার: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এম.পি বলেছেন, জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ পরিবেশগত, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।

আজ ঢাকায় শিল্পমন্ত্রী অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মি: এসপেন রিক্টর-সেভেনডনেস (Mr. Espen Rikter-Svendsen) সাক্ষাত করতে আসলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধ করতে না পারা, বিভিন্ন রকম দুর্ঘটনা এবং দেশে-বিদেশে নানা নেতিবাচক প্রচারের কারণে জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ সেক্টর বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রমকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করেন। শিল্প মন্ত্রণালয় জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের পরিচালনা, উন্নয়ন ও বিকাশের অংশ হিসেবে ২০১১ সালে ‘শীপ ব্রেকিং এন্ড শীপ রিসাইক্লিং রুলস্’ জারি করে এবং ২০১৮ সালে ‘বাংলাদেশ জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ আইন’ প্রণয়ন করে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ এন্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, এ কনভেনশন অনুমোদনের ফলে জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাবে। নরওয়ে একটি জাহাজ নির্মাণকারী জাতি। মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় নরওয়েতে প্রচুর জাহাজ রিসাইক্লিং এর অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশী ইয়ার্ডগুলি এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে। এজন্য পরিবেশগত ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘দি হংকং কনভেনশন’ ২০২৩ সালের মধ্যে অনুমোদন করা হলে বাংলাদেশ আরও দুই বছর সময় পাবে এ সংক্রান্ত শর্তগুলি প্রতিপালন করার জন্য।

শিল্পমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা প্রবর্তিত ‘দি হংকং কনভেনশন’ অনুমোদনের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের বিবেচনাধীন আছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পিএইচপি শিপ ব্রেকিং এন্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি ইয়ার্ড এ শিল্প সংক্রান্ত সর্বোচ্চ কমপ্লায়েন্স সনদ অর্জন করেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে ইয়ার্ডসমূহের কারিগরি ও কাঠামোগত উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৮৫টি ইয়ার্ড ‘শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি প্লান’ প্রস্তুত করেছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: জাফর উল্লাহ ও শেখ ফয়েজুল আমিন, যুগ্মসচিব মো: আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব মো: মোমিনুর রশীদ এবং বাংলাদেশে নরওয়ে দূতাবাসের উন্নয়ন বিষয়ক ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা মোরশেদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।