Home জাতীয় জামালপুরে বীর বিক্রম শহীদ খুররম স্মরণে বৃত্তি প্রদান

জামালপুরে বীর বিক্রম শহীদ খুররম স্মরণে বৃত্তি প্রদান

61

সুমন আদিত্য,জামালপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোতাসিম বিল্লাহ খুররম বীর বিক্রম স্মরণে জামালপুর শহরের বেলটিয়ায় স্থাপিত বীর বিক্রম ‘শহীদ খুররম স্মৃতিস্তম্ভে’ ১০ ডিসেম্বর পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ।

সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতিক,মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘরের পক্ষে পরিচালক উৎপল কান্তি ধর এবং ট্রাস্টি হিল্লোল সরকার, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের পক্ষে সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মাহমুদ এবং পরিবার ও শেরপুর মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর নেটওয়ার্ক কমিটির সভাপতি ডালিয়া সামাদ ও পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ উপলক্ষে বেলটিয়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ বীর বিক্রম শাহ্ মোতাসিম বিল্লাহ খুররমের বিদ্বেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বীর বিক্রম শহীদ শাহ মোতাসিম বিল্লাহ খুররমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন,কবি সাযযাদ আনসারী,বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সি বীরপ্রতিক। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খুররমের স্মৃতিচারণ করে আরও বক্তব্য রাখেন শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিন, শহীদ খুররমের সহযোদ্ধা ও চাচাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ, ছোট ভাই মোতাসিম বিল্লাহ শিবলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সংঘ, ব্র্যাক, সিঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থা, মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর,সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন,বেলটিয়া উচ্চবিদ্যালয়সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে বীরবিক্রম শাহ্ মোতাসিম বিল্লাহ খুররম স্মরণে প্রতি বছরের মত এবারও বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

বীর বিক্রম শাহ মোতাসিম বিল্লাহ খুররম ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভোরে জামালপুর শহরকে পাকহানাদার মুক্ত করার শেষ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে শহরের বেলটিয়ায় সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তাঁর অসাধারণ দেশপ্রেম, অসীম সাহসিকতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করে।