Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা মামলা’ ঘরোয়াভাবে রফাদফা করার অভিযোগ

জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা মামলা’ ঘরোয়াভাবে রফাদফা করার অভিযোগ

139

জাবি প্রতিনিধি:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা মামলা’ ঘরোয়াভাবে রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময় ঐ শিক্ষকের রুমে মীমাংসার জন্য বসেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, ভুক্তোভোগী বাদী সায়েম হাসান সামি একই বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ায় ওই শিক্ষক দ্বারা মীমাংসায় বাধ্য হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়, বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি মাবরুর আল ইসলাম জোয়াদ, আসিফ হোসাইন আকাশ ও তানভীর হাসান রাব্বিকে নিয়ে অধ্যাপক কাফির রুমে প্রবেশ করেন। মীমাংসার জন্য ঘন্টাব্যাপী অালোচলা চলে। ভুক্তোভোগী সামির পক্ষে জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ঐ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফির কক্ষের সামনে গেলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। ওই সময় এই অধ্যাপকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা (ছাত্রলীগ) কেউ আমার কাছে আসেনি। আমি জানি না তারা কেনো এখানে এসেছে।’

এর আগে, গত ১৬ ও ১৭ মে শহীদ সালাম-বরকত হলের গেস্টরুমে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী সায়েম হাসান সামি । এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন । পরে বাদী হয়ে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তোভোগী।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মামলা রফাদফা করা জন্য তাড়াহুড়ো করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফির কক্ষে আলোচনায় বসেন।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল মীমাংসার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সামির মামলার বিষয়টি মীমাংসার জন্য কাফি স্যারের কক্ষে গিয়েছিলাম। সেখানে দুই পক্ষের বক্তব্যই শুনেছি। আমরা সামিকে বলেছি সে যেভাবে সমাধান চায় সেভাবেই জাবি ছাত্রলীগ সহযোগিতা করবে। তাকে (ভুক্তভোগী) কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।

এদিকে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে অনুষদে প্রবেশ করার কোন নিয়ম নেই। এ বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ওই ভবনের দায়িত্বরত সহকারি প্রক্টরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিষয়টি তিনি সম্পর্কে আমি অবগত। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন কোনো শিক্ষকের কক্ষে কারও প্রবেশের নিয়ম নেই। এই ব্যাপারগুলোকে আমরা নিরুৎসাহিত করি।’

তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, ‘শুধু ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমার কক্ষে এসেছিল। তবে কী আলোচনা হয়েছে সেটা বলতে আমি বাধ্য নই। এই দুই জন ছাড়া অন্য কেউ আমার রুমে আসেনি। আর কে বা কারা আমার কক্ষের নাম লিপিবদ্ধ করেছে আমি জানি না।’