Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জাবিতে রিকশাচালককে মারধর

জাবিতে রিকশাচালককে মারধর

63

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তুচ্ছ ঘটনায় এক রিকশাচালককে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের এক কর্মচারী।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশেক মাহমুদ সোহান ও কার্যকরী সদস্য আরফিন আলম সানি ভূক্তভোগী চালককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

ভূক্তভোগী রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেট) থেকে যাত্রী নিয়ে বটতলার দিকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় গ্রন্থাগারের কর্মচারী মফিজুল ইসলাম সাদ্দাম মোটরসাইকেল নিয়ে গ্রন্থাগারের সড়কে প্রবেশ করছিলেন৷ প্রবেশের সময় তার বাইক উলটে পড়ে গেলে আচমকা আমাকে মারধর শুরু করে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশেক মাহমুদ সোহান বলেন, ‘দেখলাম একজন কে বেধরক পেটানো হচ্ছে। আমরা গিয়ে জবাবদিহিতা চাইলাম। তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। গ্রন্থাগারের লোকজন লিয়াজো করার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু বিষয় টা যেহেতু সাদ্দাম ঘটিয়েছে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। পরে উভয় পক্ষের সাথে কিথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে দেই।’

কার্যকরী সদস্য আরফিন আলম সানি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আচরণ খুবই অসহনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে। তারা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক আইন কানুন মেনে চলেই না বরং অন্য কর্মচারীদের সাথে এমকি শিক্ষার্থীদের সাথে উদ্ধোর্তপূর্ণ আচরণ করে। যেটা আজকে আবার প্রমাণিত হল।’

অভিযুক্ত মফিজুল ইসলাম সাদ্দাম যুগবার্তাকে বলেন, ‘আমি শহীদ মিনার থেকে বাইকে স্ত্রীসহ লাইব্রেরি প্রবেশ করছিলাম। রিকশার গতি বেশি থাকায় দ্রুত ব্রেক করার ফলে বাইকসহ মাটিতে পড়ে যাই। রিকশার সাথে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। বাইক পড়ে যাওয়ায় তাকে মারধর করলে তার মাথা ফেটে যায়। আমি আসলে তাকে এভাবে মারতে চাই নি।’

জাবি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম হাওলাদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি আপনার থেকেই শুনলাম। সাদ্দাম যদি এই কাজ করে থাকে তাহলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সেই সাথে ভূক্তভোগী রিকশাচালকের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থাও করব।’

এ বিষয়ে গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক এম. শামীম কায়সার বলেন, ‘ একজনের জন্য মনমালিন্য থাকতেই পারে কিন্তু সেটা নিয়ে শারীরিক নির্যাতন কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সাথেই কথা বলেছি। অভিযুক্ত রিকশাচালককে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। আমি তার প্রতিনিয়ত খোজ খবর রাখব যাতে তার কোনো অসুবিধা না হয়।’