Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জাবিতে নিপীড়ন বিরোধী জনসংযোগ

জাবিতে নিপীড়ন বিরোধী জনসংযোগ

115

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নিপীড়ন বিরোধী জনসংযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা আট টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এই জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এই জনসংযোগ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেলের সঞ্চালনায় চারটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা সহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্তকালীন তাদেরকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে।

এ সময় জনসংযোগ সমাবেশে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি হল থেকে অছাত্র বের করতে হবে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই দাবি তোয়াক্কা না করে,দিনদিন তাদের রাজার হালে থাকতে দিচ্ছে। পরবর্তীতে আন্দোলন জোরদার হলে তারা অছাত্রদের হল থেকে বের না করে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই হল থেকে নন এলোটেড (অন্য হলে বরাদ্দকৃত) বের করে আই ওয়াশ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরকম ধোকা দেওয়ার পায়তারা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পার পাবেনা। তারা যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্ষকের বিচার থেকে শুরু করে হল থেকে অছাত্র বের করাসহ আমাদের দাবি মেনে না নেয় ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

প্রশাসন কর্তৃক অভিযোগ ধামাচাপা দেয়া ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে ভুক্তভোগী একজন শিক্ষার্থী ইরা বলেন, আমরা দুই বান্ধবী মিলে পুরাতন রেজিস্টার বিল্ডিং এর দিকে যাই, সেখানে এক ভাই আমাদের চাপাতি দেখিয়ে দুটি ফোন কেড়ে নেয়। সেদিন শুক্রবারের দোহাই দিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে চায়নি কেউ। প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আমি নিজ থেকে মামলা করি। আমার কথা হলো প্রক্টরিয়াল বডি তখন ব্যবস্থা নেয়নি কেনো এবং আমার সাথে ঘটে যাওয়া এরকম অসংখ্য ঘটনার বিরদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া ও প্রশাসনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই ৩রা ফেব্রুয়ারির ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি সোহেল আহমেদ বলেন, আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সবাই মিলে একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন করব। হল থেকে এসব অছাত্র বের করে গণরুম মুক্ত ক্যাম্পাস আমরা বাস্তবায়ন করব। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করতে আমাদের এই আন্দোলন।
এছাড়াও বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্ট এর সংগঠক সোহাগী সামিয়া, আইআর ৪৯ তম আবর্তনের তৌহিদ সিয়াম, সিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ, নাটক ও নাট্টতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায়, ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক মাফরুহী সাত্তার, পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক জামাল উদ্দিন রুনু, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক লুৎফুল এলাহী প্রমুখ।