Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জাবিতে ধর্ষণ রাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের বাধা

জাবিতে ধর্ষণ রাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের বাধা

25

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে হল কক্ষে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো।

এসময় সরকার ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব ও তার অনুসারীরা।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে বাধা দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগকে। এ সময় রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না জানান, বিক্ষোভ মিছিলের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব বাধা সৃষ্টি করেন। যে দেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই,সে দেশেতো তারা বাধা দেবেই। এবিষয়ে তাদের লাইসেন্সও রয়েছে। সরকারের কাছ থেকেই তারা এই অধিকার পেয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন বলেন,ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। এসময় আমাদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা প্রদান করে। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা মনে করি,ধর্ষণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন এটি সামনে আরও বেগবান হবে। ছাত্রলীগের বাধাকে উপেক্ষা করে আমাদের কার্যকলাপ সামনে এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করি।

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান আলি বলেন,কোন দেশে আছে যে সরকার প্রধানকে প্রশ্নের মুখোমুখি করা যাবে না। ‘শেখ হাসিনার কাছে জবাব চাই’-এমন স্লোগান নাকি আমরা দিতে পারবো না। ২০২০ সালে সিলেটের এমসি কলেজের ধর্ষণের মতো ঘটনার একটারও বিচার হয় না। এদের সঙ্গে জড়িত কারা? ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরাই এসব কাজে লিপ্ত। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই আমাদের বাধা প্রদান করা হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব বলেন,কতিপয় ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর নামে কটুক্তিমূলক কথা এবং ছাত্রলীগের নামে বিতর্কিত স্লোগান দিচ্ছিলেন। ক্যাম্পাসে সরকার ও ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিতে মানা করেছি। ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠন নেবে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের যে সকল নেতা-কর্মীরা এ ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত,তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এরইমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদেরকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের কাছে আমি অনুরোধ জানিয়েছি,এ ক্যাম্পাস আমার,আপনার সবার। ক্যাম্পাসকে স্থিতিশীল রাখতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নাইমসহ নাগরিক ছাত্রঐক্য, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র যুব আন্দোলন, ছাত্র গণমঞ্চ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।