জাবি প্রতিনিধি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের নেতৃত্বে শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার হতে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ‘আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। আজকের এই দিনে আমরা হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। ১৫ আগস্ট ভোররাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। সেদিন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীসহ তার পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ও ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু বাঙালীর হৃদয়ে আছে। আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে তার নাম উচ্চারিত হয়। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা আজ দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়িত করেছে, নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছে।
এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর সকাল ১১ টায় উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানমণ্ডি ৩২ নং সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের লক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘আজকে আমাদের শোকবহ আগস্ট। যারা কখনো চায়নি বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক তারাই ৭৫ ঘটিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে করে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা। আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, পুরো আগস্ট মাসব্যাপী কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনা সভা, পুরাতন কলা ভবনে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং মিলাদ ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়।