Home জাতীয় উদ্বোধন হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নৌ ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা

উদ্বোধন হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নৌ ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা

27

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌ বাহিনীর নাবিকদের জন্য উদ্বোধন হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নৌ ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘাঁটির উদ্বোধন করেন। এ সময় খুলনা শীপইয়ার্ড লিমিটেডের নির্মিত ৪টি পেট্রোল ক্রাফট ও ৪টি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি কমিশিনিং করেন। এর মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীতে জাহাজ সমূহের আনুষ্ঠানিক ভাবে অপারেশনাল কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছে।
এর ফলে পায়রাবন্দর সহ উপকূলীয় এলাকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ওই ঘাঁটি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌ সদস্যদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষন কার্যক্রম পরিচালনায় কার্যকর ভ‚মিকা পালন করবে। এছাড়া সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় দেশীও বিদেশী ব্যবসা বানিজ্য, মানবপাচার, জলদস্যুতা ও মাদক পাচার রোধ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়ালো হবে। পাশাপাশি এলসিইউ সমূহ জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের ক‚টনৈতিক ব্যাক্তিবর্গকে সকল প্রকার সহায়তাসহ রোহিঙ্গাদের কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হবে এ নৌ ঘাঁটি। এছাড়া ওই এলাকায় একটি বিশেষায়িত ও স্থায়ী ঘাঁটির গুরুত্ব বিবেচনায় ”ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে এ ঘাঁটি নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বানৌজা শের-ই বাংলা ঘাঁটিতে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হলে নৌ-বাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম শাহিন ইকবাল তাঁকে স্বাগত জানান। এসময় বানৌজা শের-ই বাংলার একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল সহ নৌবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির নামফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। নবীন নাবিকদের প্রশিক্ষণের জন্য এ ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়। অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে গড়ে তোলা হয়েছে প্রশাসনিক ভবন, অ্যাভিয়েশন সাপোর্ট ও হ্যাঙ্গার সুবিধা সম্বলিত মাল্টিপারপাস শেড, বিভিন্ন রিপেয়ার ও মেইন্টেন্যান্স ওয়ার্কশপ। এছাড়া এ ঘাঁটিতে অ্যাভিয়েশন সুবিধা, ড্রাইভিং স্যালভেশন এর কমান্ডো পরিচালনা সম্বলিত ইউনিট, নৌ-বাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে।