Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জাবিতে উপাচার্য বিরোধীদের ভরাডুবি

জাবিতে উপাচার্য বিরোধীদের ভরাডুবি

39

জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২২ নির্বাচনে উপাচার্য বিরোধীদের ভরাডুবি হয়েছে। পরিষদের ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১২টি পদ পেয়েছে উপাচার্যের পক্ষের শিক্ষকগণ।

সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জিতেছেন ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘আমি সর্বদাই একটি সুন্দর শিক্ষক সমিতি চেয়েছি। যাদের মাধ্যমে ২০৪১ সালের লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা যায়। অবকাঠামো ও গবেষণাতে উৎকর্ষ সাধন করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেকে তার জায়গা থেকে কাজ করুক। তবে মাঝে মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয় থামিয়ে দেওয়া এবং মুখ থুবড়ে ফেলার রাজনীতি শিক্ষকেরা করে। কিন্তু আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে গঠনমূলক কাজ করতে চাই। কারণ আমাদের প্যানেলের সবাই মেধাবী ও যোগ্য।’

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম নতুন শিক্ষক সমিতির কাছে মেধা ও জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি মানবিকতার চর্চা করতে আহবান জানান।

গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক তাহমিনা ফেরদৌস।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এই প্যানেল থেকে অন্যান্য পদে জয় লাভ করেন সহ-সভাপতি পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমত আরা, কোষাধ্যক্ষ পদে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান। এছাড়াও নিবার্হী সদস্যপদে অধ্যাপক এম শামীম কায়সার, ফাহমিদা আক্তার, বুলবুল আহমেদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ নঈম আজিজ আনসারী, অধ্যাপক আকবর হোসেন, অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস, অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দা ফাহলিজা বেগম জয় লাভ করেছেন।

অন্যদিকে, উপাচার্য বিরোধী প্যানেল ‘শিক্ষক ঐক্য ফোরাম’ থেকে যুগ্ম সম্পাদক পদে জিতেছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা, সদস্য পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন এবং ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা।

নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষকদের পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করবো। শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে প্রশাসনকে সহায়তা করবো ।’

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ৬শ’ দুইটি ভোটের মধ্যে ৫শ’ আটাত্তরটি ভোট কাস্ট হয়েছে। নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল ও স্বতন্ত্র থেকে ৩২ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অফিসার ক্লাবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।