Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জাবিতে উপাচার্যের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

জাবিতে উপাচার্যের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

15

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমকে অপসারণের আশ্বাসে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সঙ্গে আলোচনা শেষে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের’ অন্যতম সংগঠক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, ‘উপাচার্য বলেছেন, আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষ নিজেরাই তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দিবেন। অন্যথায় ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্যের ক্ষমতা আছে, তিনি তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিবেন। উপাচার্য আগামী ১৮ মার্চ দুপুর পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। তাই অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে আবারো কর্মসূচিতে যাবো।’

এর আগে, সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর একটায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন। এরপর বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ডিনরা। সেখানে আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দেন উপাচার্য।

এদিকে অবরোধ চলাকালে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক ভবনের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মাচারীকে ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের প্রশাসনিক স্থবিরতা দেখা দেয়।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা; ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

এর আগে, গত সোমবার সকাল নয়টা থেকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।