জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় মন্দিরে দরজা ভেঙ্গে মন্দিরের প্রধান ঘন্টা চুরির ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে ।
জানা যায়, মন্দিরের পশ্চিম দিকের দরজার হাতলের উপর থেকে কিছু অংশ ভেঙ্গে চুর প্রবেশ করে। মন্দিরের ভিতরের জিনিসপত্র এলোমেলো করে মন্দিরের প্রধান ঘন্টা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা মন্দিরে গেলে দেখে তাদের ঘন্টা চুরি হয়ে গেছে। মন্দিরের আসবাবপত্র এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
এ বিষয়ে সনাতনী বিদ্যার্থী সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত বিশ্বাস বাপ্পি বলেন, দুই সপ্তাহের ভিতরে মন্দিরে চুরির ঘটনাটি ২য় বার ঘটেছে। গতবার চুরির পর আমরা উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তারহীনতার কথা জানালে তিনি সিসিটিভির আশ্বাস দেন। যা এখনো কার্যকর হয়নি। আমাদের মন্দিরের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় গড়িমসি করে আসছে। আমরা চাইবো এবার আর কোন গড়িমসি না করে প্রশাসন ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করবে। পাশাপাশি আমাদের মন্দিরের স্থায়ী করনের বিষয়টিও আমলেও নেবেন।
সনাতনী বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি তমাল কান্তি রায় বলেন, আজ সন্ধ্যায় যখন মন্দিরে প্রবেশ করি
মন্দিরের পেছনের দরজা দেখি কেউ যেন ভেঙ্গে ফেলেছে। পরে দেখি মন্দিরের সবচেয়ে দামী জিনিস ঘন্টা (প্রায় ১২,০০০ টাকা) চুরি হয়ে গেছে। সাথে সাথে ঘটনাটি আমি নিরাপত্তা শাখাকে অবহিত করি। প্রক্টর স্যার,আমাদের কেন্দ্রীয় মন্দির শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন স্যার কে ও জানাই। এর আগেও ২৯ আগস্ট যখন চুরির ঘটনা নিয়ে ৩০ আগস্ট তারিখ এ ভিসি স্যারের সাথে দেখা করি। উনি আশ্বাস দিলেও
আমরা শুধুমাত্র মন্দির প্রাঙ্গন পরিস্কার ছাড়া আর কিছুই পাই নি। সিকিউরিটি গার্ড,সিসিটিভি এর ব্যবস্থা করার কথা বললেও কার্যত কোনো কিছুই হয় নি। ক্যাম্পাসের ১০০০ শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অস্থায়ী, এমতাবস্থায় আমরা সকল সনাতনী শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমার মনে হয় এই চুরির ঘটনাটিতে একটা রহস্য আছে। আমরা রহস্যটি ভেদ করার চেষ্টা করছি। তাছাড়া নিরাপত্তা শাখায় ঘটনাটি আমরা জানিয়েছি, নিরাপত্তার পাশাপাশি দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি।