Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাবিতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাবিতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

41

জাবি প্রতিনিধি: ৭ই নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল গেইট সংলগ্ন মসজিদে এই মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ৷

এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও রোগ মুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

দোয়া মাহফিল শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকের এই দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে। এ বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়। পাল্টে যায় দেশের পটভূমি এবং এ পরিবর্তনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী এক জাতিসত্তা লাভ করে বাংলাদেশ। এছাড়া এদিন থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে।
১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের সেই চেতনাকে ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যাবস্থা কায়েম করতে মরিয়া সরকার জীবন জীবিকা গভীর সংকটাপন্ন, দ্রব্য মূল্যের লাগাম টানতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চরম ব্যর্থ হয়েছে৷ এই দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে ৭ ই নভেম্বরের চেতনা নিয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক মোঃ সৈয়দ কামরুল আহছান, অধ্যাপক মোঃ শামসুল আলম, অধ্যাপক মোঃ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মোঃ নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মোঃ সোহেল রানা, অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক কামরুজ্জামান, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, মোঃ রেজাউল রকিবসহ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের এ দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। দেশমাতৃকার চরম সংকটকালে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রিরা জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। এ অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। সিপাহী -জনতার এই বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনের বিশৃঙ্খলাসহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশ একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে ফিরে আসে।